তিনমাসের বাসা ভাড়া মওকুফের দাবি

জাতীয় জীবন-যাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে জীবিকার চাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এপ্রিল থেকে আগামী তিন মাসের বাড়ি ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল মওকুফের দাবি করেছেন ভাড়াটিয়ারা।
অনেক নি¤œআয়ের মানুষ জানান, চাকরি ও ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। পরিবারকে খাওয়ানোর মতো পর্যাপ্ত টাকাও নেই। এই অবস্থায় তারা জীবন-জীবিকার বিষয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সেখানে বাড়ি ভাড়া দেয়ার মতো অবস্থা তাদের নেই। তাদের বেঁচে থাকার ও ব্যবসা চালিয়ে যেতে ইউটিলিটি বিল মওকুফ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৭ অনুযায়ী, শহরাঞ্চলে প্রায় ৪৪ শতাংশ আবাসিক বাড়ি ভাড়া দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাড়ি ভাড়া বাবদ মোট মাসিক ব্যয়ের ১৭.২৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ হয়। সেই সাথে ইউটিলিটি বাবদ মোট ব্যয়ের আরও পাঁচ শতাংশ যোগ হয়। অর্থাৎ একটি পরিবারের মোট মাসিক ব্যয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশই বাড়ি ভাড়ার বাবদ খরচ হয়।
ভাড়াটিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, রাজধানীর প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ভাড়াটিয়া এবং বাকি ১০ শতাংশ বাড়ির মালিক। লকডাউনের মতো পরিস্থিতির কারণে হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। এই অবস্থায় অনেকে তাদের পরিবারকেই ঠিকভাবে খাওয়াতে পারছেন না, কীভাবে তারা ভাড়া দেবেন।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার কারণে এখন শহরের প্রায় ৪০ লাখ দরিদ্র মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের পক্ষে পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করাই কঠিন। সরকার তাদের জন্য খাবার রেশনিং চালু করতে পারে।
তিনি বলেন, যদি এনবিআর বাড়ির মালিকদের আয়কর কিছুটা মওকুফ করে দেয় তাহলে তারা তাদের দরিদ্র ভাড়াটিয়াদের বাসা ভাড়ার বোঝাও কিছুটা কমিয়ে দিতে পারবে। এছাড়াও সিটি করপোরেশনও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ দিতে পারে।


বিজ্ঞাপন