নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সেবা সংস্থাগুলোর বেশিরভাগ কাজই মৌসুমকেন্দ্রিক। গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের মতো জরুরি সেবার উন্নয়নমূলক কাজ শেষ মুহূর্তের জন্য ফেলে রাখায় অনেক ক্ষেত্রেই অর্জিত হয় না লক্ষ্য। ফলে বাড়ে জনদুর্ভোগ।
এ বছর করোনা পরিস্থিতি ও আগাম বৃষ্টিতে যেমন আটকে গেছে ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের কাজ। যদিও তাদের দাবি সমস্যাপ্রবণ এলাকায় কাজ চালু রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়।
উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের এ রাস্তায় ড্রেনেজের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন যাবত। ঝুঁকিপূর্ণ চলাচলে বাধ্য এলাকাবাসী।
পাশেই অন্য একটি প্রকল্পের কাজ চলায় রাস্তা থেকে ড্রেন উঁচু হয়ে গেছে। তাই বৃষ্টি হলে সে পানি নামার সুযোগ নেই।
ওয়াসার কল্যাণপুর পাম্প দিয়ে ঢাকার পশ্চিম অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশন করা হয়। কয়েক বছরেও পর্যাপ্ত খনন না করায় পাম্পের জলাধার পর্যন্ত পানি আসা সম্ভব হয় না।
ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, সাধারণ এপ্রিল মাস থেকে আমরা শুরু করি। ধরে নেই, প্রবল বৃষ্টি আসবে জুন মাসে। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে।
ঢাকার আপাতত বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা ও আবদ্ধ পানিতে মশা জন্ম নেয়ার আতঙ্ক। কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর এপ্রিল মাসকে কেন্দ্র করে খাল খনন ও ড্রেনেজ সংস্কারের কাজ করে। করোনার কারণে এবছর ধাক্কাটা খেতে হয়েছে অপ্রত্যাশিতভাবে।
নগরবিদ ইকবাল হাবীব বলেন, জরুরি সেবার কার্যক্রম স্থগিত বা না করার এই সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষেরও পাইপ লাইন সংস্কার ও মেট্রোরেলসহ কিছু প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। জনবল সংকটে ভুগছেন তারাও।
জরুরি সেবা নিরবচ্ছিন্ন চালু রাখার পাশাপাশি লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল হলে কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় কাজ চালুর আশাবাদ সংস্থাগুলোর।