প্রসূতিদের সেবা দিতে অনীহা বেশীর ভাগ হাসপাতালের

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : নানা অজুহাত এবং লোকবল সংকটে কোভিড নির্দিষ্ট ৯০ ভাগ হাসপাতালেই দেয়া হচ্ছে না প্রসূতি সেবা। এতে করে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ার পাশাপাশি মনোবল হারিয়ে ফেলছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রতিটি হাসপাতালে মিডওয়াইফ সরবরাহ করতে চাইলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগ্রহ দেখায়নি বলে অভিযোগ গাইনি চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন ওজিএসবির।
সব ধরনের কোভিড পজিটিভ রোগীর জন্যই কোভিড নির্দিষ্ট হাসপাতালগুলো। অথচ ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা হাসপাতাল ছাড়া কোভিড নির্দিষ্ট কোনো হাসপাতালেই নেয়া হচ্ছে না প্রসূতি মায়েদের। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে তাদের।
ভুক্তভোগীদের একজন বলেন, হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে করোনা পরীক্ষার ফল লাগবে। সেটা ছাড়া কোনোভাবে গ্রহণ করবো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করোনা পজেটিভ নারীর স্বামী বলেন, আল্লাহ যে বাঁচাই রাখছে এটাই বিরাট কথা। গর্ভবতী ‘করোনা’ বলে তারা চিকিৎসা দেবে না। তাদের নাকি সে ব্যবস্থা নেই।
ঢাকা মেডিকেল গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. লিলুফার সুলতানা বলেন, সকল গর্ভবতীই চিকিৎসা কোথাও থেকে না পেয়ে ঢামেকে চলে আসছে। যার ফলে আমার অনেক অনেক চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গেছে।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গাইনি বিভাগের লেবার রুম ভেঙে করা হয়েছে আইসিইউ।
অন্যদিকে কুর্মিটোলায় অ্যানেসথেসিওলোজিস্টরা কাজ করছেন আইসিইউ ওয়ার্ডে। নানা কারণ দেখিয়ে নাজিরাবাজার মহানগর হাসপাতালেও বন্ধ রয়েছে প্রসূতি সেবা।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট ডা. মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন বলেন, আইসিইউ বেশি বাড়াতে গিয়ে ডেলিভারি রুম, পোস্ট অপারেটিভ রুম এগুলো আমরা রিনোভেশন করে ফেলেছি।
নানা সীমাবদ্ধতা থাকলেও সেবা প্রদানে হাসপাতালগুলোর চরম অনীহা রয়েছে বলে অভিযোগ ওজিএসবির।
ওজিএসবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রওশন আরা বেগম বলেন, আমরা মিডওয়াইফ দিতে চেয়েছি প্রয়োজনে চিকিৎসকও। তবুও আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
প্রসূতি মায়েদের সেবা শুরু করতে জনবল বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালক ডা. মো. আমিনুল ইসলাম।
কোভিড নির্দিষ্ট লালকুঠি ম্যাটার্নিটি হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ৩ জন কনসালট্যান্ট থাকলেও নেই কোনো সহায়ক জনশক্তি। এই বাস্তবতায় করোনা পজেটিভ প্রসূতি মায়েদের ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি হাসপাতালটির পরিচালকের।


বিজ্ঞাপন