লকডাউন নিয়ে তামাশা মৃত্যু ঝুঁকিতে দেশবাসী

জাতীয় স্বাস্থ্য

আহমেদ হৃদয় : মহামারী করোনাভাইরাসের ছোবলে বাংলাহদেশে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখের ওইপরে। দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিভিন্ন জায়গায় জোন ভিত্তিক লকডাউন দেয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় লকডাউন নিয়ে এরকম তামাশা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বিশিষ্টজনেরা।
তারা বলছেন, দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন নিয়ে তামাশা বন্ধ করে দেশের জনগণের খাদ্য নিশ্চিত করে পুরোদেশ লকডাউন করা উচিৎ। তা নাক হলে দেশের অবস্থা আরো খারাপ হবে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, লকডাউন আর জোন নিয়ে দড়ি টানাটানি বন্ধ করুন। করোনা হটস্পটের সকল মহানগর ও অঞ্চলে অনতিবিলম্বে সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকরি করতে হবে। লকডাউন আর রেড জোন-ইয়োলো জোন নিয়ে নিজেদের মধ্যে দড়ি টানাটানি অবিলম্বে বন্ধ করুন; কর্তৃত্ব ও এখতিয়ার নিয়ে কোন বিরোধ থাকলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অনতিবিলম্বে তার অবসান ঘটানো জরুরী। লকডাউন আর জোন ঘোষণা নিয়ে যে বিভ্রান্তি তা সরকারের মধ্যকার সমন্বয়হীনতার বহিঃপ্রকাশ। সরকারের মধ্যকার এই সব সমন্বয়হীনতার কারণে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সংক্রমনের চার মাস পরেও এখনও নৈরাজ্যিক পরিস্থিতি বিদ্যমান। এখনও পর্যন্ত করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেহাল ও ছত্রভঙ্গ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। প্রয়োজনীয় মাত্রায় পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় হাজার হাজার সংক্রমনের নানা উপসর্গ নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সামাজিক সংক্রমন জ্যামিতিক হারে বাড়িয়ে চলেছে। সভায় নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, মহামারী দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের একের পর এক ভুল, আত্মঘাতি ও সমন্বয়হীন সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের কারণে আজ দেশের হাজার হাজার মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে। এই পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।


বিজ্ঞাপন