বিনা কারণে ট্রাফিক গেইট কিপার ছাটাইয়ের প্রতিবাদ

অর্থনীতি জাতীয়

আহমেদ হৃদয় : উপযুক্ত কারণ ছাড়াই রেলওয়ের পাকশী বিভাগের টিএলআর ট্রাফিক গেইট কিপার ছাটাইয়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। রেলওয়ের ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অপচয়ের কারণে গেইট কিপার প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মো. আব্দুল আওয়াল, সহকারী চীফ অপারেটিং সুপারিনন্টেন্ডেন্ট (পি) পশ্চিম, (এসিওপিএস) বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী, সিওপিএস এর পক্ষে ৩০/৬/২০২০ ইং তারিখে স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ট্রাফিক গেইট কিপারদের চাকরি থেকে ছাটাই করা হয়। কর্তৃপক্ষের এরকম হটকারিতায় দীর্ঘ ৬/৭ বছরের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকার পরেও ট্রাফিক গেইট কিপারদের জীবনে আজ অন্ধকার নেমে এসেছে। অথচ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে কতৃক নেয়া পশ্চিমাঞ্চলীয় লেভেল ত্রুসিং গেট মানোন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়ার এখতিয়ার বর্হিভূত কার্যত্রুমের কারণে আজ করোনা পরিস্থিতিতে ট্রাফিক গেইট কিপাররা চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি ২০১৮ সালে তার প্রকল্পের অধিনে ১০০০ জন টিএলআর নিয়োগ দেন। সেই সময়ে চাকরি থেকে ছাটাইকৃত গেইট কিপাররা কর্মরত ছিলেন।
মনিরুজ্জামান মনির আরো বলেন, কর্মরত গেইট কিপারের জায়গায় নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকল্প পরিচালকের উচিত ছিল দীর্ঘদিন থেকে কর্মরত টিএলআর গেইট কিপারদের স্থায়ীকরণ করা অথবা তাদের চাকরি বহাল রেখে প্রকল্পে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া। শুধু তাই নয়, প্রকল্প পরিচালক কর্তৃক দুই বছর পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ৮১ জন টিএলআর কোন কাজ না করেই বাড়িতে বসে বসে মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতন নিয়েছেন। যার ফলে রেলওয়ের ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অপচয় হয়েছে। এর জন্য দায়ী প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া। তিনি আরো বলেন, সিওপিএস পশ্চিম রাজশাহী গেইট কিপারদের নিয়োগ অনুমোদন দিয়ে থাকেন, কিন্তু সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া তিনি তাদের চাকরি থেকে ছাটাই করতে পারেন না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ট্রাফিক বিভাগে গেইট কিপার নিয়োগ দিতে পারেন না। রেলমন্ত্রী ও রেলওয়ে মহাপরিচালকের নিকট আবেদন রেলওয়ের অর্থ অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও পাকশী বিভাগের ট্রাফিক গেইট কিপারদের প্রতি এই অন্যায়ের বিচার এবং তাদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।


বিজ্ঞাপন