ডিএনসিসির ০.৬৬ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে গত মে মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ সময়ে মোট ৪ লাখ ৫ হাজার ৫৫০টি স্থাপনায় পরিদর্শন করে ২ হাজার ৬৮৬টি স্থাপনা অর্থাৎ ০.৬৬ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পেয়েছে সংস্থাটি।
একই সঙ্গে এসময়ে এডিসের বংশ বিস্তারের উপযোগী স্থাপনার সংখ্যা পাওয়া গেছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫১টি অথাৎ ৪২.৮২ শতাংশ। এসময় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৮১০ টাকা। তথ্যগুলো জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।
গত মে মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত কয়েক দফায় চিরুনি অভিযানের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা দেখা গেছে কয়েক দফা চিরুনি অভিযান পরিচালনার ফলে স্থাপনাগুলোতে এডিসের লার্ভার সংখ্যা কমে এসেছে। সর্বশেষ গত ৮ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত চিরুনি অভিযানে ভবন-স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৪ টি। এর মধ্যে এডিসার লার্ভা পাওয়া গেছে ৬৯১ টি স্থাপনায়। সে হিসেবে ০.৫৩ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে এডিসের বংশবিস্তার উপযোগী স্থাপনার সংখ্যা ৭৭ হাজার ৩৩২টি অর্থাৎ ৫৯.০৪ শতাংশ। এই সময়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে মোট ১০ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা।
একইভাবে গত ৪ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত অভিযানে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৮ স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮৯৮ অর্থাৎ ০.৬৯ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। একই সাথে ৭৮ হাজার ১৩০ অর্থাৎ ৫৯.৬৫ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময় ২১ লাখ ৬৮ হাজার ৭১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
গত ৬ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত অভিযানে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১ হাজার ৬০১ অর্থাৎ ১.১৯ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। একই সাথে ৮৯ হাজার ৬২৬টি অর্থাৎ ৬৬.৮২ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময় ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া গত ১৬ মে থেকে ২০ মে মোবইল কোর্ট এবং ১০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত অভিযানে ৯ হাজার ৪৬৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮৭টি অর্থাৎ ১.৯৮ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। একই সাথে ৫ হাজার ৮৯৫টি অর্থাৎ ৬২.৩০ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময় ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি হয়েছে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতেও তাদেরকে মনিটরিং করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন