নইন আবু নাঈমঃ ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন শেষ হবার পর বুধবার রাত ১২টার পর শুরু হচ্ছে ইলিশ আহরণে সমুদ্রযাত্রা। ইলিশ শিকারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বঙ্গোপসাগরের উদ্দ্যেশে রওনা হবে বাগেরহাটের শরণখোলাসহ উপকূলীয় জেলার হাজার হাজার জেলে।
বুধবার শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ট্রলারগুলো নোঙর করে আছে সাগরে যাওয়ার অপেক্ষায়। মাছ ধরার জাল, জ্বালানি তেল, খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ শেষে শেষ প্রস্তুতি হিসাবে বরফ ভর্তি করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে জেলেরা। মৎস্য আড়তের মহাজনরা হিসাব-নিকাশ নিয়ে বসে পড়েছেন।
মৎস্য আড়তদার মোঃ মজিবর তালুকদার, মোঃ সরোয়ার হোসেন ও মোঃ জামাল হাওলাদার জানান, এর আগে ইলিশ শিকারে ৬৫ দিনের অবরোধের কারনে অনেক লোকসানে গুনতে হয়েছে। জেলেদের খোরাকি এবং জাল-ট্রলার মেরামত করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়েছে মহাজনদের।
বাগেরহাট জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় মৎস্য সমিতির সভাপতি মোঃ আবুল হাওলাদার জানান, গভীর সাগরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত শরণখোলায় রয়েছে ৬০০ ট্রলার। এসব ট্রলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সাগরে যাওয়ার অপেক্ষা করছে।
বাংলাদেশ ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন গনমাধ্যমকে জানান, ইলিশ প্রজনন মৌসুমের কারেন জেলেদের মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বুধবার থেকে শেষ হচ্ছে। একারনে জেলেরা তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথে তারা ফিসিং ট্রলার নিয়ে সাগরে যাত্রা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শরণখোলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, ২০১৯ সালে শরণখোলার জেলেরা সমুদ্র থেকে ৭৬০ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করেছে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৮০০ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে।