ঢাকার খাল ও নর্দমা মশার প্রজনন কেন্দ্র

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন জীবনী ঢাকা রাজধানী স্বাস্থ্য

×বর্ষার আগেই ১১ খাল দখলমুক্ত হবে: তাপস
×নভেম্বরে বেড়েছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা

 

মহসীন আহমেদ স্বপন : দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। শীতের মৌসুমে এডিস মশার কামড়ে প্রতিনিয়ত মানুষ জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এডিস ও কিউলেক্স মশা নিধনে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ খুববেশি দেখতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলছেন নগরের বাসিন্দারা। তবে সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিল দাবি করছেন, নিয়মিত মশার ঔষুধ ছিটানো হচ্ছে। তবে নতুন ওয়ার্ডগুলোর খাল এবং পুরাতন ওয়ার্ডগুলোর নর্দমা হচ্ছে মশার প্রজনন কেন্দ্র।
এ দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন আগামী বর্ষার আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১১টি খাল দখলমুক্ত হবে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানী শ্যামপুর খাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতার মূল কারণ খাল দখল। ঢাকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো যেমন দখল হয়েছে, তেমনি খালগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা হয়নি। কিছুদিন আগে খালগুলো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় যে ১১টি খাল রয়েছে, এ খালগুলো পুনরুদ্ধার রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী বর্ষার আগেই আমরা এ খালগুলো নিজস্ব অর্থায়নে পুনরুদ্ধার করবো এবং পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে নান্দনিক পরিবেশ করে তুলবো। আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে ঢাকাবাসীকে আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারবো।
ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের পুরনো ওয়ার্ডগুলোর চেয়ে নতুন ওয়ার্ডগুলোয় মশার উপদ্রব বেশি দেখা গেছে। এছাড়াও সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢমেক) গিয়ে দেখা গেছে, ডেঙ্গু রোগে সোমবার নতুন করে আরও ৪ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন ১৫ জন। প্রতিদিন কমবেশি ৩ থেকে ৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। ঢামেকে ১৫ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ৭ জনই ঢাকার বাইরে থেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। বাকি ৮ জন ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুযায়ী, শীতের মধ্যে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি হতে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ১শ’ ৭৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অর্থ্যাৎ গত ১০ মাসে ৫৮৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আর চলতি মাসেই (সেপ্টেম্বর) ৫৮৭ জন ডেঙ্গুরোগে হাসপাতালে ভর্তি হন।
অন্যান্য মাসগুলোর মধ্যে জানুয়ারিতে ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫, মার্চে ২৭, এপ্রিলে ২৫, মে-তে ১০, জুনে ২০, জুলাইয়ে ২৩, আগস্টে ৬৮, সেপ্টেম্বরে ৪৭ এবং অক্টোবরে ১৬৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৭৭ জন। মোট ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে আগস্টে একজন ও অক্টোবরে দুজনের মৃত্যু হয়।
গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম ও স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের (এমআইএস) সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ কামরুল কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হন ১৭ জন ও বিভাগীয় হাসপাতালে একজন।
বর্তমানে ৯০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে রাজধানীর ঢাকায় ৭৬ জন ও ঢাকার বাইরে ১৪ জন ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে পাঁচ দিন ধরে ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, মিরপুর এলাকায় মশার উৎপাত বেড়েছে। মশা নিধনকর্মীরা কয়েক দিন পর পর দায় সারাভাবে ওষুধ ছিটিয়ে চলে যান। মশার ওষুধ ছিটালেও ঠিকমত মশা মরে না। তাকে কিভাবে এডিস মশা কামড়িয়েছে সেই সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেন না।
মোস্তফিজুর রহমান বলেন, নভেম্বরের শুরুতে শরীরে জ্বর জ্বর ভাব দেখা দেয়। পরে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে জ্বরের ওষুধ কিনে খাই। ওষুধ খেয়ে দুই একদিন শরীরে জ্বর থাকে না। কিন্তু কয়েক দিন পর ফের শরীরে জ্বর শুরু হয়। পরবর্তীতে নমুনা পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) নতুন যোগ হওয়ায় মাতুয়াইল এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নতুন ওয়ার্ডগুলোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। মশক নিধনকর্মীদের এই এলাকায় তেমন দেখা মেলে না। ফলে কিউলেক্স ও এডিস মশার উপদ্রব বাড়ছে। এডিস মশার কামড়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। একই অবস্থা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) যুক্ত হওয়া নতুন ওয়ার্ডগুলোর। উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩ এর আওতায় ২১ নম্বর বাড্ডা, দক্ষিণ বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, পূর্ব মেরুল বাড্ডা, পশ্চিম মেরুল বাড্ডা এবং গুপিপাড়া বাড্ডা নিয়ে। এসব এলাকার বাসিন্দা একই অভিযোগ তুলেছেন।
মশার উপদ্রব নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন বলেন, শীতের মৌসুমে মশার উপদ্রব বেড়েছে। তবে গত রোববার থেকে ফের মশার উৎপাত কমতে শুরু করেছে। এছাড়া পরিবেশের কথা চিন্তা করে মশার ওষুধ কম ছিটানো হচ্ছে। বিকেলে ফগার মেশিনে মশার ওষুধ কম ছিটানো হয়। আর সকালের মশার ওষুধ নিয়মিত ছিটাচ্ছে মশক নিধনকর্মী। মশক নিধনকর্মীদের বেতন কাউন্সিলদের স্বাক্ষরে হওয়ায় এখানে ফাঁকি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
নতুন ওয়ার্ডে মশার উপদ্রবের বিষয়ে এই কাউন্সিলর বলেন, নতুন ওয়ার্ডগুলোর আয়তন বিশাল। এসব ওয়ার্ডে খালে কচুরিপানা থাকায় মশা প্রজনন বেশি হচ্ছে। আর পুরনো ওয়ার্ডে নর্দমা থেকে মশার প্রজনন বেশি ঘটছে।
দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা বলেন, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় প্রতিনিয়ত মশক নিধনকর্মীরা ওষুধ ছিটাচ্ছেন। তবে গত বছরের মতো এবার কিউলেক্স ও এডিস মশার উপদ্রব কম। ফলে গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে মানুষ কম ভর্তি হচ্ছেন। শীতের মৌসুম এলেই মশার উৎপাত কিছুটা বাড়ে সেটি জনগণকে মেনে নিতে হবে। মশা নিধনে এখন প্রত্যেক কাউন্সিলর তৎপর রয়েছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে কোথায় কোথায় মশার ঔষধ ছিটাতে হবে তা কাউন্সিলররা চিহ্নিত করে মশক নিধনকর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। আর মশক নিধনকর্মীরা সেই অনুযায়ী মশার ওষুধ ছিটাচ্ছেন।
বৃষ্টির মৌসুমে নেই এরপরও কিউলেক্স, এডিস মশার সঙ্গে ডেঙ্গুরোগী বাড়ার বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, সিটি করপোরেশনে মশা নিধনে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে এক এলাকায় মশার ঔষধ ছিটানো হলে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। দুই সিটি করপোরেশনকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে মশা নিধন কার্যক্রমে নামতে হবে।
নভেম্বরে বেড়েছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা : নভেম্বরে ডেঙ্গুরোগী কমতে থাকলেও এবার উল্টো বেড়েছে। সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচশো রোগী শনাক্ত হয়েছে এক মাসে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, ডেঙ্গু এখন আর বর্ষা মৌসুমের রোগ নয়। গবেষকরা জানান, নির্মানাধীন ভবনে এডিসের জন্ম রোধ করা না গেলে সারা বছরই ডেঙ্গু আক্রান্ত হবে মানুষ। এ পরিস্থিতিতে বছরজুড়ে মশক নিধন কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
উত্তর ঢাকার বেগুনবাড়ি এলাকায় দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে টিনের চালে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে জন্ম নিয়েছে মশা। অথচ মশককর্মী ও এলাকাবাসীর চোখেই পড়েনি তা।
উত্তরার একটি ভবনে পরপর দুই বার এডিসের লার্ভা পেয়েছে সিটি করপোরেশন। জরিমানা করার পরও সুধরায়নি। রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি এডিস জন্ম হচ্ছে নির্মাণাধীন ভবনে।
সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর মৌসুম ধরা হয়। এবছর এই তিনমাসে ডেঙ্গু রোগী ১৩৮ জন। অথচ নভেম্বরে ডেঙ্গু রোগী সাড়ে পাঁচশো। এ পরিস্থিতিতে কাউন্সিলররা চাইছেন মশক নিধনে নতুন নির্দেশনা।
গবেষকরা জানান, যেসব এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহ কম সেখানে এডিসের ঘণত্ব বেশি। কারণ সেই এলাকার মানুষ দিনের পর দিন পানি জমিয়ে রাখে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেশি।
ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানালেন, সারা বছরই চলবে মশক নিধন কার্যক্রম। ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। এরপর ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় ও মারা যায়। সরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল লাখের বেশি, মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।
বর্ষার আগেই ডিএসসিসির ১১ খাল দখলমুক্ত হবে: আগামী বর্ষার আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১১টি খাল দখলমুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানী শ্যামপুর খাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতার মূল কারণ খাল দখল। ঢাকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো যেমন দখল হয়েছে, তেমনি খালগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা হয়নি। কিছুদিন আগে খালগুলো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় যে ১১টি খাল রয়েছে, এ খালগুলো পুনরুদ্ধার রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী বর্ষার আগেই আমরা এ খালগুলো নিজস্ব অর্থায়নে পুনরুদ্ধার করবো এবং পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে নান্দনিক পরিবেশ করে তুলবো। আপনাদের সবার সহযোগিতা পেলে ঢাকাবাসীকে আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারবো।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, খালগুলো দখলমুক্ত করতে আমরা স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম নিয়েছি। স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম আমরা নিজ অর্থায়নে শুরু করেছি। প্রথম কাজ হচ্ছে খালগুলো দখলমুক্ত করা। সিএস খতিয়ান দেখে আমরা খালগুলো দখলমুক্ত করবো। খালের সব বর্জ্যগুলো অপসারণ করা হবে। ফলে খালের জলপ্রবাহ পুনরুদ্ধার হবে। জলপ্রবাহ পুনরুদ্ধার হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে না আশা করি। আমরা আশাবাদী আগামী দু’বছরের মধ্যে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারবো।
বক্স-কালভার্ট বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা জানেন বক্স-কালভার্টগুলো দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয়নি। বিশেষ করে পান্থপথের বক্স-কালভার্ট, ধোলাইখালের বক্স-কালভার্ট এগুলো দীর্ঘদিন সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়নি। আমরা অচিরেই খালগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করবো। পরবর্তীতে বিচার বিশ্লেষণ করে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম নেবো।
ওয়াসার জনবল সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতটুকু জনবল এবং যন্ত্রপাতি আমাদের প্রয়োজন হবে, সেগুলো আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে নেবো। সব জনবল আমাদের, যেটা প্রয়োজন নেই তা নেবো না। এ বিষয়ে দুটো কমিটি করা হবে তারা বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে, রূপরেখা প্রণয়ন করবেন, এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো। যারা অবৈধভাবে খালের জমি দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশাবাদী।
এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জিরানি খাল, শ্যামপুর খালের চলমান বর্জ্য অপসারণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।


বিজ্ঞাপন