বিশেষ প্রতিনিধি : ইনজুরি পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই তাকে আটকে রাখতে চেয়েছে; পারেনি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের আগেও পড়েন ইনজুরিতে। টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন কিনা সেই শঙ্কা জেগেছিল। তবে ইনজুরি সামলে শেষভাগে ফিরেছেন ম্যাশ। কিন্তু ফিরে পাচ্ছিলেন না ছন্দ। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে এবার তিনিও ফিরলেন ছন্দে।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফী অবসর নিয়েছেন ২০১৭ সালে। তবে ঘরোয়া আসরগুলোতে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ যা করলেন সেটি করতে পারেননি কখনোই। পড়ন্ত বয়সে করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাশরাফীর দল জেমকন খুলনার প্রতিপক্ষ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। আসরের সবচেয়ে সফল দলটি। পুরো আসরে দুর্দান্ত ছন্দে দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারও। তবে এদিন এদের কবল থেকে দলকে উদ্ধার করেন মাশরাফী। নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান সৌম্যকে।
২য় ওভারে এসে ফেরান লিটন দাসকেও।
ব্যক্তিগত ৩য় ওভার করতে এসে ফেরান উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া মাহমুদুল হাসান জয়কে।
তবে চমকটা দেখিয়েছেন নিজের শেষ ওভারে। উইকেট তুলে নিয়েছেন শামসুর রহমান শুভ ও মোস্তাফিজুর রহমানের।
সবমিলিয়ে ম্যাচে ৩৫ রানের বিনিময়ে মাশরাফীর উইকেট ৫টি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আগে কখনোই ৫ উইকেট পান নি ম্যাশ। আগে তার সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৪/১১।
পড়ন্ত বয়সে সব ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক।