ভেষজ ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি : সারা বিশ্বজুড়ে করোনা এখন মূল আলোচনার বিষয়। বিশ্বজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন এবং করোনা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে বিজ্ঞানীরা একের পর এক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এতে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত ও তৈরি হচ্ছে। অনেকেই আবার কেমিক্যাল বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে ভেষজ চিকিৎসার দিকে ছুটে চলেছেন।


বিজ্ঞাপন

সৃষ্টির আদি থেকেই ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞানের রয়েছে একটি সুদূর প্রসারি সফলতা। এখনো অনেকেই এই ভেষজ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। ইতিমধ্যে চীনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শ্বাসকষ্টের রোগীদের সংক্রমণের উদ্দেশ্যে বিকল্প ঔষধ বা ট্রেডিশনাল ভেষজ ঔষধ প্রয়োগ করেছেন। তারা এতে ব্যাপক সফলতাও পেয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

অসুস্থতার জন্য ভেষজ ওষুধের ব্যবহার কোনও অভিনব ধারণা নয়। হাজার হাজার বছর ধরে, লাইকোরিস, আদা এবং এফিড্রা জাতীয় ঔষধিগুলি ফ্লু এবং নিউমোনিয়ার মতো শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ফোরসাইথিয়ার মতো কিছু ভেষজ ওষুধ সার্স এর জন্য রাখা হয়েছিল এবং পরীক্ষাগার গবেষণায় কিছুটা কার্যকর হয়েছে বলে মনে হয়।
অনেকেই দাবি করেছে যে, ভেষজ ওষুধগুলি তাদের স্বাস্থ্যরক্ষায় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা রাখছে, তবে ভেষজগুলি নিয়ে প্রচুর গবেষণা অনির্বাচিত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, কোভিড-১৯ এর ভেষজ প্রতিকারগুলি সমর্থন করার মতো পর্যাপ্ত ডেটা আমাদের কাছে নেই।

কেউ কেউ মনে করেন ভেষজ ওষুধগুলি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে স্বাস্থ্যকর অবস্থানে রাখে। অন্যরা বিশ্বাস করে যে শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল নির্দিষ্ট ভাইরাসগুলিকে শরীরে প্রতিলিপি করতে বাধা দেয়।

“কোভিড-১৯ এ ভেষজ ওষুধ কিভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে ”-তা নিয়ে আগামী ৮ ই আগষ্ট বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় এবং ক্যালগেরি সময় শনিবার সকাল নয়টায় এক ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজক কানাডার ক্যালগেরির টমবেকার ক্যানসার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর এবং আর এক্স মীমস এর পরিচালক আহমেদ হোসেন শাহিন।

আলোচনায় অংশগ্রহন করবেন জাহাংগীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসী বিভাগের প্রফেসার ডা: এম শাহাবুদদীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসীর চেয়ারমান ডাঁ: সীতেশ বাচার, বাংলাদেশ আয়ুরবেদিক ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রটারি ডা: মিজানুর রহমান, স্কয়ার ফার্মার এম আসাদউল্লাহ,রেনাটা ফার্মার রিনাত রিজভী, দি একমি ল্যাব এর মো: আশরাফুল ইসলাম, জেসন ন্যাচারেল প্রোডাটকস লি: এর ডা: সাফিউল আলম এবং হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ এর আবু জাফর মো: সাদেক।

আয়োজক কানাডার ক্যালগেরির টমবেকার ক্যানসার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর এবং আর এক্স মীমস’র পরিচালক আহমেদ হোসেন শাহিন বলেন, আদিকাল থেকেই ভেষজ ঔষধের একটি জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভেষজ প্রতিষেধক গুলি তার নিজস্ব স্বকীয়তায় দিনের পর দিন এগিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়েও ভেষজ ঔষধি সর্বপ্রথম মানুষকে আকৃষ্ট করে। সেই আদিকাল থেকেই সাধারণ কোল্ড, ইনফ্লুয়েঞ্জা, জ্বর এবং হারপিসের ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল ধরে ভাইরাসের সংক্রমণ এবং চিকিৎসার জন্য ভেষজ ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে আসছে।