চরফ্যাশনে যৌন হয়রানী থেকে মুক্তির আকুতি সদ্যবিধবা নারীর!

সারাদেশ

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় তিন সন্তানের জনক কর্তৃক সদ্যবিধবা দুই সন্তানের জননীকে যৌন হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদ্যবিধবা ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার মোজাম্মেল মিঝির ছেলে মোসলেহ উদ্দিন মুসা তাকে দীর্ঘদিন ধরে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বিভিন্নভাবে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য এবং সরাসরি ওই নারীর বাড়িতে গিয়েও প্রস্তাব দিচ্ছে। ওই নারী আরও বলেন, আমার স্বামী করোনাকালীন সময়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কিছুদিন পর থেকেই মুসা আমার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিয়ের প্রস্তাবসহ অশালীন কথাবার্তা বলে আসছে। গত প্রায় ১৫ দিন পূর্বে সে আমার বাড়িতে এসেছিলো। আমি তখন রান্নাঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম, মুসা এসে আমার মুখে হাত দিয়ে গাল টেনে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে এবং খারাপ কথাবার্তা বলে। এসময় আমি ডাক চিৎকার দিলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়। এছাড়াও আমি আমার বাপের বাড়িতে গেলে তখনো সে আমাকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি আমার পরিবার ও স্বজনদের জানাই এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও লম্পট মুসার কুকর্মের কোনো বিচার পাইনি।
এসময় ভক্তভোগী ওই নারী চোখে মুখে আতংকের ছাপ নিয়ে লম্পট মোসলেউদ্দিন মুসার কুনজর থেকে বাঁচার আকুতি জানান।


বিজ্ঞাপন

সদ্যবিধবা নারীকে যৌন হেনস্থার বিষয়টি অস্বীকার করে মুসা জানান, ওই নারী আমার দুসম্পর্কের ভাবি হয়। আমি তার দেবর হিসেবে তার বাড়িতে গেলে রান্নাঘরে গিয়ে কি রান্না হচ্ছিলো ভাবিকে জিজ্ঞেস করি। এবং দুষ্টমি করে ভাবির মুখে হাত দিয়ে গাল টেনে দেই।


বিজ্ঞাপন

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী মুসার সম্পর্কে জানান, মুসা বিবাহিত এবং তার ছেলেমেয়ে আছে। লম্পটের মতো সদ্যবিধবা নারীকে যৌন হয়রানি করা মোটেও উচিত হয়নি। মুসার মতো এরকম লম্পটদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা।

শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, যৌন হয়রানির স্বীকার ওই নারী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।