নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোবাইল চুরি করে তা বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর অভিজাত শপিং কমপ্লেক্সে। বাড়তি লাভের আশায় পাইকারি দোকানদাররা কোনোরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই পেশাদার চোরচক্রের কাছ থেকে এসব মোবাইল কিনে তা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছে। চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, এরা পেশাদার মোবাইল চোরচক্রের সদস্য। এদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকতে পারে মোবাইল দোকানদারদের।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ভোর ৫টা। টাঙ্গাইলে ঘাটাইলের একটি মোবাইলের দোকানে চুরি হয়। সিসি ক্যামেরায় ফুটেজে একজনকে দোকানে প্রবেশ করতে দেখা যায়। মাত্র ২ মিনিটের ব্যবধানে ওই দোকান থেকে মোবাইল চুরি করে পালিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে।
পুলিশের কাছে তথ্য ছিল একটি চক্র দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোবাইল চুরি করে তা রাজধানীর পাইকারি মোবাইলের মার্কেটে বিক্রি করে থাকে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চক্রটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। চোরাই মোবাইলসহ চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, টাঙ্গাইল থেকে চুরি করা মোবাইল তারা বিক্রি করেছে রাজধানীর মোতালিব প্লাজার একটি পাইকারি দোকানে। বাড়তি লাভের আশায় চোরাই মোবাইল কেনার কথা জানায় দোকানদার।
দোকানদার জানান, ওরা মোবাইল নিয়ে আসে। আমি একটা দাম দেই, ও একটা দাম দেয়। পরে আমি কিনে নিই।
পুলিশ বলছে, পেশাদার মোবাইল চোরচক্রের সঙ্গে দোকানদারদের যোগসাজশ থাকতে পারে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, দুই-তিনটা স্টেপ পার হয়ে মার্কেটে মোবাইলগুলো আসে। দোকানদার সবকিছু যাচাই-বাছাই না করে লাভের আশায় এ মোবাইলগুলো কিনে নেয়। এখানে তাদেরও যোগসাজেশ থাকতে পারে।
অবৈধ বা চোরাই পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে মার্কেটের দোকান মালিক সমিতি।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো দোকানে অবৈধ এবং চোরাই মালামাল যদি বিক্রি করে তাকে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করে দেব।
কাগজপত্র যাচাই না করে মোবাইলসহ অন্যান্য পণ্য কেনা থেকে গ্রাহককে বিরত থাকার পরামর্শ পুলিশের।