মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে আবারো নিজেদের মধ্যে খুনাখুনি

রাজধানী

নিজাম উদ্দিন : রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে পাঁচজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা,সবাইর জেনেভা ক্যাম্পের স্থানীয় বলে জানা যায়।মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন

আহতরা হলেন- জাবেদ (৩০) শওকত হোসেন (২৫) রাজ (৩০) ও সাঈদ (৩৫) ও শাহজাদী (২৫) আহতরা ব্যবসায়ী, কেউ,কেউ, দোকানের কর্মচারী। আহত সবাইকে এ অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আহত শওকত আজকের দেশ নিউজকে বলেন, স্থানীয় গোলামের নেতৃত্বে আরমান, রহমান, আব্দুস সাত্তার, রাজু, সুমন, মাউড়া রাসেল, আশরাফ আলী, নওশাদ, বাবু তৌসিফসহ ২০ থেকে ২৫ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এরা সবাই স্থানীয় কাউন্সিলের অনুসারী।
সূত্রে আরো উল্লেখ, এই হামলার আশংকায় ছিলাম আরো কয়েকদিন আগে থেকেই। আর আজ তাই বাস্তব হলো! আমরা জেনেভা ক্যাম্পে নিরীহ ভাবে বসবাস করি, এটাই অনেকের সহ্য হচ্ছে না। আমাদের উপরে হামলা হবে এমনটা আগে থেকে কিছুটা বুঝতে পেরে, নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা কে অবহিত করেছিলাম।

হামলা করিরা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্ট্রনের অনুসারী বলে স্থানীয়রা জানান।
এবিষয় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্ট্রনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের দেশ নিউজকে বলেন ক্যাম্পে যারা বসবাস করেন সবাই আমার অনুসারী কিন্তু অপরাধী আমার দলের কেউ না, সে যে-ই হোক, আর এ ঘটনার বিষয় আমাকে কেউ জানায় নি। আমার কথা হচ্ছে যদি কেউ অন্যায় ভাবে কারো সাথে অপরাধজনক কাজ করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, আর সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আহতদের কেউর গোশতের দোকান রয়েছে কেউর মুদি দোকান আবার কেউ চাকরি করে।
চাঁদাবাজ গোলামসহ, তাদের লোকজন বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে হামলা চালায়, দোকান ভাঙচুর করে ও কর্মচারীকে কুপিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা ওই এলাকায় একটি ক্লাব ঘর বানিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় তারা মাদক ব্যবসাও করে। প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের হামলার শিকার হতে হয় আহতদের দাবি।

আহত জাবেদ জানান, হামলাকারীরা মাদকের সঙ্গে জড়িত। বাধা দিলেই মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। আমার দুটি দাঁত পড়ে গেছে। শওকত ভাইয়ের হাতে পিঠে কুপিয়ে জখম করেছে। তার হাতের রগ কেটে গেছে। তাকে হৃদরোগ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শাহজাদী শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহতদের প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এবিষয় জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, আজকের দেশ নিউজকে, বলেন ঘটনাটি শুনেছি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহতদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।