নিজস্ব প্রতিবেদক : জলবায়ুসহিষ্ণু খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সেচের মাধ্যমে কৃষি ও মাছের উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশকে প্রায় ১ হাজার ২০ কোটি টাকা (১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের সদর দফতর এ ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা কার্যালয়। পাঁচ বছর গ্রেস দিয়ে ৩৫ বছরে এ ঋণ শোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।
ক্লাইমেট-স্মার্ট এগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেয়া হবে। এই ঋণ সহযোগিতা ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমির সেচ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বন্যায় ফসলের যে ক্ষতি হতো, তার ৬০ শতাংশ কমবে। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতির শিকার ১ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মানুষের আয় বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবে এ প্রকল্প। এই উপকারভোগীর অর্ধেকই হবেন নারী। এ প্রকল্প মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করবে প্রায় ৪০ শতাংশ এবং ধান উৎপাদন বৃদ্ধি করবে সাড়ে ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ জীবনধারণের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ তাদের দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত করে দেয়। এ প্রকল্পের আওতায় জলবায়ুসহিষ্ণু পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা আয় বৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। এছাড়া জীবনযাপন ও স্থানীয় অধিবাসীদের জলবায়ু সহনশীল করে তুলবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট এবং এ প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার আবেল লুফাফা বলেন, ‘খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্ষা মৌসুমে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্ষা পরবর্তী শুষ্ক মৌসুমে পানি সরবরাহ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে এ প্রকল্প।’