আজকের দেশ রিপোর্ট : পত্রিকা বিহীন কথিত এক সাংবাদিক ঔষধ কোম্পানির গৃহপালিত দালাল হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নকল ভেজাল ঔষধ কোম্পানির বিরুদ্ধে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হলে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। উনি কি এসব বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির ইজারাদার? আবার অনেক সময় তাকে নকল ভেজাল ঔষধ কোম্পানির মালিকেরা অনৈতিক সুবিধা না দিলে নিজের টাকা খরচ করে বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির বিরুদ্ধে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ করিয়ে নিজের রিপোর্ট বলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। আবার জাতীয় ও জনস্বার্থে কোন সাংবাদিক বিতর্কিত নকল-ভেজাল ঔষধ উৎপাদনকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলেও পত্রিকা বিহীন কথিত ওই সাংবাদিক নামের দালালের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির মালিকের বক্তব্য জানতে মালিকের সাথে যোগাযোগ করলেও পত্রিকা বিহীন কথিত ওই সাংবাদিক নামের দালাল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালায়। তিনি নাকি আবার দেশজ চিকিৎসা সংরক্ষণ পরিষদের নেতা। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান যোগদানের পর দেশজ চিকিৎসা সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে মহাপরিচালককে ফুলেল শুভেচছা বিনিময় করে এবং ফটোসেশন করে ওইসব ছবি নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার দিয়ে নিজেকে মহা ক্ষমতাবান সাংবাদিক হিসেবে বিতর্কিত ঔষধ কোম্পানির মালিকদের কাছে প্রচার প্রচারণা চালায়।
এ বিষয়ে দেশজ চিকিৎসা সংরক্ষণ পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায় পত্রিকা বিহীন কথিত ওই সাংবাদিক নামের দালালের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তাদের কাছেও এসেছে। তারা ওই পত্রিকা বিহীন কথিত সাংবাদিক নামের গৃহপালিত দালালকে বিশেষভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন বলেও দেশজ চিকিৎসা সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ আজকের দেশকে জানিয়েছেন। এছাড়া কোন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় বিতর্কিত নকল ভেজাল ঔষধ কোম্পানির বিরুদ্ধে রিপোর্ট হলে ওইসব রিপোর্ট ও তার করা রিপোর্ট বলে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির মালিকের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করার চেস্টা করে। অনেক সময় বিভিন্ন পত্রিকায় ঔষধ কোম্পানির বিরুদ্ধে রিপোর্ট হলে পত্রিকা বিহীন কথিত সাংবাদিক নামের গৃহপালিত দালাল পত্রিকার কাটিংসহ অন্যের নামে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়ে ঔষধ কোম্পানির মালিকদের নানা ধরনের হয়রানি করার ও অভিযোগ রয়েছে।
