নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’
রোববার প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও হোটেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘নলেজ ডিসেমিনেশন অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ওয়ার্কশপ অন ইন্টিগ্রেটিং কমিউনিটি বেইজড অ্যাডাপটেশন ইন টু এফরেস্ট্রেশন অ্যান্ড রিফরেস্ট্রেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে ‘ক্লিন ও গ্রিন’ করার লক্ষ্যপূরণে আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজনমূলক বিভিন্ন সফল কর্মকা-ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের নজর কেড়েছে।’
কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্পটির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ সুদীপ্ত মুখার্জিসহ অন্যরা।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বন অধিদফতর বাস্তবায়িত বাংলাদেশের উপকূলীয় বনায়ন ও পুনর্বনায়নে কমিউনিটিভিত্তিক অভিযোজন কর্মসূচি (আইসিবিএএআর)’ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সফল অ্যাডাপ্টেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের উপকূলীয় ৫টি জেলার ৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত থ্রিএফভি (ফরেস্ট, ফ্রুট, ফিস, ভেজিটেবলস) মডেলসহ অন্যান্য অভিনব অভিযোজন কর্মকা- আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। আইসিবিএএআর প্রকল্পের আওতায় বিগত চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় মতামত এবং ফলাফল বিশ্লেষণ করে উপকূলের উপযোগী, জলবায়ু সহনশীল, অভিনব, প্রাকৃতিক ও প্রতিবেশভিত্তিক জীবিকায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এ কর্মকা- স্থানীয় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি লাঘবকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী গঠন ও সংরক্ষণ করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রভাব মোকাবিলায় আইসিবিএএআর প্রকল্পটির মাধ্যমে বাস্তবায়িত জীবিকায়ন কার্যক্রম এবং ইফেকটিভনেস ও ইফিসিয়েন্সি স্টাডিগুলো ‘জলবায়ু সহনশীল ও প্রতিবেশভিত্তিক উপকূলীয় জীবিকায়ন’ এবং ‘বাংলাদেশের জলবায়ু সহিষ্ণু ম্যানগ্রোভ প্রজাতির চারা উত্তোলন, রোপণ-কৌশল এবং বাগান ব্যবস্থাপনা’ শিরোনামে গ্রন্থভুক্ত করে তার বাংলা ও ইংরেজি ভার্শন দুটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।