পরিবহনে ভাড়ার নৈরাজ্য

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন রাজধানী

লকডাউনের তৃতীয় দিন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে দু’দিন বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। গত সোমবার থেকে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের শুরু থেকে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। বুধবার দু’দিন পর ফের বর্ধিত ভাড়া ও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে শুরু হয়েছে পরিবহন চলাচল।
এদিকে, যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহন কম থাকায় রাজধানীর লোকাল বাসগুলোতে চলছে যাত্রীদের আগে ওঠার প্রতিযোগিতা। অভিযোগ উঠেছে, ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির পর ১০ টাকার ভাড়া ১৬ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও বাসগুলো ২০ টাকার নিচে যাত্রী তুলছে না। গুলিস্তান থেকে যাত্রাবাড়ীর ভাড়া মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার হয়ে ১৫ টাকা। এই ভাড়া শতভাগ বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ৩০ টাকা।
পরিবহন শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভাড়ার বিষয়ে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। পুলিশও খোঁজ রাখে না, কে কত ভাড়া নিচ্ছে। বরং বেশি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি সবারই জানা বলে দাবি করেন গুলিস্তান- চিটাগাং রোড রুটের চালক আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, বেশি নিচ্ছি এটা ঠিক। তবে আমাদেরকেও বেশি দিতে হচ্ছে। এক ট্রিপে আগে দেড়শ টাকা দিতে হতো। এখন সেটা ২৫০ হয়েছে।
ভাড়া বেশি চাওয়ায় কয়েকটি বাসে উঠতে গিয়েও নেমে আসেন গুলিস্তানগামী তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখান থেকে গুলিস্তানের বাস ভাড়া (ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে) সবসময়ই ১০ টাকা করে। কিন্তু ২০ টাকার কমে বাসে উঠতে দিচ্ছে না হেলপাররা।
মোটরসাইকেল চালকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আফসানা খান বলেন, আমার অফিস মোহাম্মদপুরে। দ্রুত পৌঁছানোর জন্য অ্যাপে মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। কিন্তু সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে। তাই এদের দ্বারস্থ হয়েছি। আগে গন্তব্যে ১৩০/১৫০ টাকায় যেতে পারতাম। কিন্তু এখন ২০০ টাকার কমে যেতে রাজি না।
মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিম বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়েই এক বছর ধরে সংসার চালাচ্ছি। এটি বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। এখন তো অন্যান্য দিনের মতো যাত্রী পাই না। তাই ভাড়া একটু বেশি নিতে হয়।
এর আগে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এলাকাধীন সড়কে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে।
এদিকে, লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় দোকানদারদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআরটিসি কাউন্টারের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে বেলা ১১টার দিকে গুলিস্তান এলাকায় ঢাকা রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ব্যানারে দোকানদাররা ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এরপর তারা বিআরটিসি কাউন্টারের সামনের সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে দোকানিরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে পুলিশও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
ঢাকা রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আবদুল মান্নান কর্মসূচির ইতি টেনে দোকানদারদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি ২-১ দিনের মধ্যে দোকান খুলতে না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে, লকডাউনে বন্ধ থাকার পর সিটি করপোরেশন এলাকায় আবারও শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে গত কয়েকদিন অফিসগামী যাত্রীর তুলনায় পরিবহন সংকট থাকলেও গতকালের চিত্র ভিন্ন। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সড়কে গণপরিবহনের তুলনায় যাত্রী কম। বুধবার সকাল থেকে বর্ধিত ভাড়া ও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে রাজধানীর গণপরিবহন।
মিরপুর, কাজীপাড়া শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও প্রেসক্লাব এলাকা ঘুরে দেখা যায় সড়কে পরিবহন সংকট নেই। বিকল্প পরিবহনের যাত্রী মো. আলম রায়হান বলেন, আমি বাসে উঠেছি আগারগাঁও-তালতলা এলাকা থেকে। আমি মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে বাস পেয়েছি। আশা করছি মতিঝিল যেতে বেশি সময় লাগবে না।
গত দু’দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে জন্য। পাওয়া গেলেও ভাড়া চেয়েছে ও নিয়েছে বেশি। তবে একটু বেশি ভাড়া নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহন।
বিকল্প পরিবহনের চালক শিবলী রায়হান বলেন, সড়কে অন্য দিনগুলোর তুলনায় যাত্রী সংখ্যা অনেক কম। যাত্রীদের চাপ যদি কম থাকে তাহলে মালিকরা সড়কে বাস কম নামাবেন। যাত্রী কম আর বেশিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই, মালিকের গাড়ি চালাই। গাড়ি চললে আমাদের বেতন হবে।
শিকড় পরিবহনের এক যাত্রী জলিল হোসেন বলেন, আমার অফিস ফার্মগেট। আমি সঠিক সময়ে অফিস পৌঁছাতে পারবো। বাসের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। বাড়তি ভাড়া ও এক সিট ফাঁকা রেখে চলছে বাস। এক কথায় বলা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহন। সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প কিছু গণপরিবহনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ পরিবহনে ছিল না। কিছু গণপরিবহনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে দেখা গেছে।
এর আগে ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সার্ভিস চালু থাকবে। তবে দূরপাল্লার গণপরিহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত বলবৎ রয়েছে।
তবে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে যান ও জন চলাচলে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তার অনেকখানি উপেক্ষিত হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশের যাত্রী পরিবহনে। সরকারঘোষিত সাত দিনের নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় দিনে রাজধানীসহ সিটি করোপরেশন এলাকাগুলোতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহ চলাচরের অনুমতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে যে নির্দেনা দিয়েছে, তা মানছে না পরিবহন মালিকরা।
পরিবহনগুলোতে পর্যাপ্ত স্যানটাইজ ব্যবস্থা থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো বাসেই মানছে না সেই নির্দেশনা। এমনকি গাড়ি প্রতিবার ছেড়ে আসার আগে পরিচ্ছন্ন করার কথা থাকলেও তা করছে না বাস মালিকরা।
সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে আসা তুরাগ পরিবহনের মহসিন নামের হেল্পারে কাছে বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালিক গাড়িই ঠিক করে না। আবার হ্যান্ডওয়াশ দিবো! এমনেই বলে টাকা চুরি করি। হ্যান্ডওয়াশ চাইলে তো মাইর দিবো।
প্রতিবার গাড়ি ছাড়ার আগে গাড়ি পরিষ্কার করা হয় কিনা এমন প্রশ্নেও অবাক মহসিন। বলেন, লোকাল বাস পনেরো দিনেও ধোয়া হয় না, আবার প্রতিবার পরিষ্কার করবো! খোরাকি দিতেই মালিক কত বক্কর চক্কর করে, আবার টাকা দিয়া গাড়ি পরিষ্কার করবো।
একইভাবে পোস্তগলা থেকে মুগদা, বাসাবো, খিলাগাও, বাড্ডা হয়ে ছেড়ে আসা রাইদা, অনাবিল বা ছালছাবিল কোনো বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা দেখা যায়নি। এমনকি গাড়ির চালক, কন্ডাক্টরের কিংবা হেল্পারে পরনে মাস্কও দেখা যায়নি। আবার যারা মাস্ক পরেছেন তাদের মাস্ক নোংরা।
মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে রাইদা পরিবহনের এক কন্ডাক্টর বলেন, ভাই শত শত মানুষ ওঠে বাসে, মুখে এক টুকরা কাপড় দিয়া কি করোনা থেইকা বাঁচা যাইবো? এই কারণে আর মাস্ক পরি না। তবে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানতে পূর্ব ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা বহাল আছে। সেই সঙ্গে ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের আন্তঃজেলা বাস চলাচল ও রেল যোযাযোগ। এই নির্দেশনায় গণপরিবহন চলাচলে যে নিয়ম বেধে দেয়া হয়েছে সেসব দেখার যেন কেউ নেই।
অপরদিকে, লকডাউনের জন্য শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময়ও আড়াই ঘন্টা কমিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে। সল্প সময়ের লেনদেনের তৃতীয় দিনেও গতকাল সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এর আগে লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। টানা দুই কার্যদিবস পতনে লেনদেন শেষ হয়ে লকডউনে এসে সূচকের ঊর্ধ্বমূখী অবস্থানে ফিরলো শেয়ারবাজার। দেশের প্রধান শেয়াবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এদিন লেনদেন শেষে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন এবং বেশিরভাগ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার দরও। বুধবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ডিএসইতে এমন চিত্র দেখা যায়।
দেখা যায়, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স এদিন ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ১১ পয়েন্টে।
এদিন লেনদেন হওয়া ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৯টির, দর কমেছে ৪৩টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০২টির। আলোচ্য দিনটিতে টাকার অংকে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫শ’ ৮২ কোটি ৫২ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এর আগে গত কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিলো ৫০৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে গত কার্যদিসের থেকে আজ ৭৪ কোটি ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা গেছে, সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের তৃতীয় দিনে ভোর থেকেই রাজধানীতে পুরোদমে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এর আগে ৪ এপ্রিল সরকার গণপরিবহন বন্ধের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সেটি কার্যকর হয় ৫ এপ্রিল। তবে আগের নির্দেশনা ঠিক রেখেই মঙ্গলবার বিভাগীয় শহরে গণপরিবহন চলাচলে উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
এদিকে গণপরিবহ চলাচল শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, হিউম্যান হলারও ব্যাপকভাবে চলাচল শুরু করে। গণপরিবহণ চালু হওয়ার কারণে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গাড়ির জ্যাম ও জনসমাগম চোখে পড়ার মতো। শহরের অফিসপাড়া খ্যাত মতিঝিল, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, ফার্মগেট, নিউমার্কেট এলাকায় কোথাও কোথাও তীব জানযটও চোখে পড়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ যান চলাচলে নতুন যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে প্রতিটি বাসেই ধারণ ক্ষামতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
গণপরিবহন চালু হলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়। তবে সড়কে চলাচলকরা এসব যানবাহনকে মানতে হবে কঠোর বিধি নিষেধ। প্রতিবার গাড়ি ছাড়ার আগে জীবানুমুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের বিধান। তবে এখনই আন্তঃজেলা বাস চলাচলের নিষেধাজ্ঞা উঠছে না বলেও জানানো হয় বিআরটিএর সেই প্রজ্ঞাপনে।