অভয়নগরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর উদ্বোধনের আগেই ভেঙ্গে পড়লো!

সারাদেশ

সুমন হোসেন, অভয়নগর (যশোর) থেকে : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক ‘বিশেষ এলাকার উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন সহায়তা’ শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির গৃহহীনদের বসতঘর প্রদান প্রকল্পের বসত ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কোটা গ্রামের ঋষিপাড়ার গোপাল দাশ’র নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙ্গে পড়েছে। এ উপহারের ঘরটি ভেঙ্গে পড়ায় ঐ এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক আতঙ্ক এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, অভয়নগর উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জন্যে ২০টি ঘরের বরাদ্দ হয়েছিলো। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। তারই একটি ঘর চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা ঋষি পাড়ার গোপাল দাসের নামে বরাদ্দ আসে।
ঘরটি নির্মাণে মাটির নিচে কোনো ভিত ছাড়াই নির্মাণ কাজের শুরু করা হয়েছে। উপকারভোগীর নিকট থেকে নির্মাণ সামগ্রি ক্রয়ের জন্যে টাকা নেওয়া হয়েছেও। নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙ্গে পড়ায় ঝুকিপুর্ণ ঐ ঘরে বসবাস করতে অনিহা প্রকাশ করছেন উপকারভোগী। উপজেলা প্রশাসন ঘরটির পুর্ণঃনিমাণ কাজ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোটা গ্রামের ঋষি পাড়ায় গোপাল দাশের নিজ জমিতে মাটির নিচে কোনো ভিত না করে, মাটির উপরে বসত ঘর নিমাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন ঘরে নি¤œ মানের ইট দিয়ে দেওয়াল গাঁথার কাজ চলছে। নি¤œ মানের সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী গোপাল দাস বলেন, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের মিস্ত্রিরা এই ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু থেকেই নয়ন নামের এক রাজমিস্ত্রি আমার নিকট বিভিন্ন ভাবে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না চাইলে, ঘর নির্মাণ হবে না বলে হুমকি দেয় ঐ রাজমিস্ত্রি নয়ন। আমার ঘর দেওয়া বন্ধ করে দেবে বলে আমার থেকে ৩ হাজার ৫০০ শ’ টাকা এবং রড, সিমেন্ট ও ইটের খোয়া কিনতে আরও ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রিজিবুল ইসলাম বলেন, কোনো ঘর ভেঙ্গ পড়ে নি। কাজের মান খারাপ হওয়ায়, আমরা লেবার দিয়ে নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙ্গে নতুন করে কাজ শুরু করেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান জানান, নির্মাণাধীন ঘর ভেঙ্গে পড়ায় কোনো ক্ষতি হয় নি। কাজের মান খারাপ হওয়ায় তা বন্ধ করে রাখা হয়েছিলো। বিষয়টি তদন্ত করে ঐ ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঐ ঘরের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। কাজের অগ্রগতি সন্তষজনক।


বিজ্ঞাপন