ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার হচ্ছে হাজার শয্যার করোনা হাসপাতাল

রাজধানী স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার হাজার শয্যার হাসপাতালে রূপ নিচ্ছে। এক বছরের বেশি সময় পড়ে থাকা ২০১৩ বেডের বসুন্ধরায় নির্মিত অস্থায়ী করোনা হাসপাতালকে ভেঙে এটির সঙ্গে জোড়া হচ্ছে এখানে।
মহাখালী করোনা হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আইসোলেশন সেন্টার থেকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দিয়ে নতুন নামকরণ করা হবে। আগামী ২০ এপ্রিল করোনাভাইরাসের রোগীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হবে হাসপাতালটি। এটিকে দেশের সবচেয়ে বড় ও বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, এখানে পরিপূর্ণ ১০০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ১২২টি হাই ডিপেনডেনসি ইউনিট (এইচডিইউ) শয্যা থাকছে। এছাড়া সাধারণ শয্যা থাকছে প্রায় ১ হাজার। ১৫ এপ্রিল নাগাদ অন্তত ৫০টি আইসিইউ ও ২৫০টি সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে। বাকিগুলোর কাজ চলতে থাকবে। আশা করছি চলতি মাসের শেষ দিকে পুরো হাসপাতালটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতাল ভবনটি সিটি করপোরেশনের। হাসপাতালটির যন্ত্রপাতি ও জনবলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অবকাঠামোগত প্রস্তুতির কাজ বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় থাকছে আর্মস ফোর্সেস মেডিক্যাল ডিভিশন। ৭শ’ চিকিৎসকের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং ৫০ জন ইতোমধ্যেই নিয়োগ হয়েছে। বসুন্ধরায় নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতাল ভেঙে সেখান থেকে উন্নত যন্ত্রপাতি এনে এখানে বসানো হচ্ছে।
এখানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিদেশ যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা সংগ্রহ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার ফি বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৩ হাজার ৫৩৫ টাকা।
ডিএনসিসি সূত্র আরও জানায়, ভবনের ছয়তলায় করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ প্রস্তুত করা হচ্ছে। বসুন্ধরা করোনা আইসোলেশন সেন্টার থেকে এনে ভেতরে সাজানো হচ্ছে আইসিইউ বেড। বেডের সঙ্গে পিসিআর যন্ত্রপাতি সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে।


বিজ্ঞাপন