দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন জীবনী ঢাকা সারাদেশ স্বাস্থ্য

মেশিন দিয়ে খুঁড়া হচ্ছে কবর
মানুষ পথে নামার ছুঁতো খুঁজছে

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাসহ সারাদেশের কবরস্থানে প্রতিদিনই বাড়ছে স্বজন হারানো মানুষের আর্তনাদ। কবরের টালি খাতায় স্বজনদের নামের তালিকা বেড়েই চলেছে। অনেকে প্রিয় স্বজনের শেষ বিদায় উপস্থিত না থাকতে পারার অপরাধবোধ আর গোপন কষ্ট প্রকাশ করছেন স্বজনের কবরের কাছে এসে। একদিন হয়তো এই মহামারি চলে যাবে। কিন্তু চলে যাওয়া স্বজনদের শূন্যতা কাঁদাবে আজীন।
কবর খুঁড়ে কুল পাচ্ছেন না কবরস্থানের কর্মীরা। চাপ সামলাতে তাই চলছে মেশিন দিয়ে কবর খোঁড়ার কাজ। রাজধানীর রায়েরবাজারের কবরস্থানে কাজ করা কর্মী আব্দুল আহাদ আলী বলছেন, এমন মৃত্যুর র্দীঘ মিছিল তারা কখনই দেখেননি। সনাতন পদ্ধতিতে কবর খুঁড়ে আর কুলোচ্ছিলো না গোর খোদকদের। তাই তো আনতে হয়েছে আধুনিক মাটিকাটা যন্ত্র। যা দিয়ে অল্প সময়ে অনেক কবর খুঁড়তে পারছেন তারা।
কবরস্থানে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সারি সারি নতুন কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছে। দেখে মনে হবে যেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত কোনো দেশের চিত্র। করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ হচ্ছেন বহু মানুষ। গোর খোদকদের কাছে এ যেন নীরব যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে লড়াই করে যাওয়া। যুদ্ধের মাঠে পরাজিত মানুষদের মাটি দেয়াই তাদের কাজ।
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মৃত্যু বেড়েছে বহুগুণ। প্রতিদিন যে পরিমাণ মরদেহ আসছে, তাতে আর শাবল-কোদাল দিয়ে সনাতনী পদ্ধতিতে কবর খুঁড়ে কুল পাচ্ছেন না কবরস্থানের কর্মীরা। তাই আশ্রয় নিতে হচ্ছে এমন মাটিকাটা যন্ত্রের। আগে প্রতিদিন যে কয়টি কবর খুঁড়তে হতো তার চেয়ে এখন ৪০ থেকে ৫০টি কবর বেশি খুঁড়তে হচ্ছে।
এদিকে, লকডাউনের মধ্যেও মানুষ পথে নামছে হরহামেশা। পথে নামার ছুঁতো খুঁজছে। কেউ বাধ্য হয়ে, কেউ আবার ফাঁকা ঢাকা দেখতে। এই শ্রেণির মানুষের কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও। বিশেষ প্রয়োজনে যাদের বাইরে বের হতেই হচ্ছে তাদের জন্য মুভমেন্ট পাস ইস্যু করছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, মুভমেন্ট পাস চালু করার দ্বিতীয় দিনে পাস পেতে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটটিতে হিট পড়েছে প্রায় আট কোটি। এর মধ্যে আবেদনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন ৩ লাখ ১০ হাজার জন। আবেদন ইস্যু করা হয়েছে আড়াই লাখ। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, বাইরে বের হতে মানুষের ব্যাকুলতা কতটা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের মার্চে লকডাউনের পর থেকে কয়েক মাসে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে উঠেছিল। মানুষ করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্ক ছিল। যে যার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করেছে। এতে করোনায় সংক্রমণের হারও কম হয়েছে। ধীরে ধীরে ভালো অবস্থাতেই যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎ করে সাধারণ মানুষের উদাসীনতা এবং ঢিলেঢালা চলাফেরার জন্য ফের করোনা থাবা ফেলেছে আমাদের যাপিত জীবনে।
গত বুধবার করোনায় ৯৬ জনের প্রাণহানির খবর এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাধারণ মানুষ করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন না হলে এই হার আরও বাড়বে। এখানে আরও একটি বিষয়কে তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। সেটি হচ্ছে, উপসর্গহীন করোনা সংক্রমিত রোগী। যাদের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে অথচ কোনো ধরনের উপসর্গ নেই, তারা হয়তো বিভিন্ন জায়গায় করোনা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন অথচ নিজেরাও বুঝতে পারছেন না।
বিগত কয়েক মাসে সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার না করা, প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজ ব্যবস্থার অনুসরণ না করার ফলে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। তাছাড়া মানুষ ইদানীং জনসমাগমেও কোনো বাধানিষেধ মানেনি। এতে সংক্রমণ বেড়েছে।
বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হলেও মানুষ বিকল্প উপায়ে ঠিকই পথে বের হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ হলেও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছে মানুষ। অনেকে আবার এই ব্যক্তিগত গাড়িকে গণপরিবহনের মতো ব্যবহার করছেন। কয়েকজন মিলে গাড়ি ভাড়া নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে তা ব্যাহত হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতদিন পর্যন্ত মানুষ নিজেরা সচেতন না হবে, নিজেদের জীবনের কথা না চিন্তা করবে ততদিন করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। যারা নিয়ম মানছেন না তারা ঘরে থাকা তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্যও ঝুঁকির কারণ হচ্ছে। তারা ভাইরাস বয়ে ঘরে এনে তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এজন্য নিজে সতর্ক থাকতে হবে শুধু নিজের জন্য নয়, নিজের পরিবারের সদস্যদের জন্যও।
সরকার আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক জীবনযাত্রা বা চলাফেরায় যে বিধিনিষেধ দিয়েছে, সেটি শতভাগ মেনে না চললে এই বিধিনিষেধ আরও দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এতে শুধু যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রাই ব্যাহত হবে তা নয়, মানুষে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়বে, বাড়বে মৃত্যুর হারও।
এদিকে, মেইন সড়কে লকডাউন চললেও ওলি-গলি মহল্লায় মানুষ চলছে যে যার মতো করে। গাড়িতে সাংবাদিক, ডাক্তার, পুলিশ ও জরুরীসেবা লেখে ব্যক্তিগত কাজে ঘুরতে দেখা গেছে বেশ কিছু মানুষকে। মসজিদের নীচ তলায় স্বাস্থ্য বিধি মানা হলেও দু’তলা-তিন তলায় ঠিকই গাদাগাদি করে নামাজ আদায় করছে মুসল্লিরা। এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সচেতন হতে হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে।
যেসব পেশার মানুষ জরুরিসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেক রাস্তাতে বেরিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরিসেবা সংস্থারও কোনো যানবাহন যেতে পারছে না; যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়। ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন গলিতে নির্দিষ্ট স্থান পরপর বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধক গড়ে তুলেছেন স্থানীয়রা। রিকশাসহ ছোট যানবাহনগুলো আটকে দেওয়া হচ্ছে সেখানে। তবে পায়ে হেঁটে চলাচল করা যাচ্ছে। ইফতারের সামগ্রীসহ নিত্যপণ্যের দোকান খোলা দেখা গেছে।
যদিও লকডাউনে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে বের হওয়াও বারণ। তবে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। কিন্তু কর্মীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা রেখেনি এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই। ফলে সকালে অফিসগামী মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। সহজলভ্য পরিবহন রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা পাওয়াটাই যেন সোনার হরিণ। এ সুযোগে রিকশাচালকরা ভাড়া নিচ্ছেন দ্বিগুণের বেশি। সকালে অফিস টাইমের আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রিকশা চালকদের অধিকাংশই থাকেন নগরীর খিলগাঁও এলাকায়। এই এলাকায় রিকশা বা রিকশা গ্যারেজ মালিকের সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে তুলনামূলভাবে এলাকাটিতে রিকশার সংখ্যাও বেশি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে অফিস শুরুর আগে খালি রিকশার সন্ধান পাওয়া ছিল অনেকটা সোনার হরিণের মতো।
রিকশা না পেয়ে খিলগাঁও রেলগেট থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত হেঁটে এসেছেন আরমান হোসেন। তিনি জনতা ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় কাজ করেন। তিনি বলেন, এই পথটুকুর ভাড়া চাওয়া হচ্ছে দেড়শ টাকা। অথচ ফাঁকা রাস্তায় ১৫ মিনিটের পথ এটি। ৮০ টাকা বলার পরেও রাজি হচ্ছে না। অন্যসময় ৭০-৮০ টাকা দিয়েই যাতায়াত করতাম।
এসময় অফিসগামী বহু মানুষকে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পরিবহন না পেয়ে ভাড়া ভাগাভাগি করে এক সঙ্গে দুই জন যাত্রীকেও রিকশায় উঠে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। লকডাউনের প্রথম দিন রিকশায় দুই যাত্রীকে এক সঙ্গে যাতায়াত করতে দেওয়া না হলেও দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার দুই থেকে তিন জন করে যাত্রী পরিবহন করতেও দেখা গেছে। এসময় মোড়ে মোড়ে দায়িত্বপালনকারী পুলিশের সদস্যরা বাধা দেননি।
মালিবাগ রেলগেটের চিত্রও একই। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও রিকশার সন্ধান পাননি অফিসগামী বহু মানুষ। এসময় যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাত্রা দিতে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষদের। তাদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মী আনা নেওয়ার জন্য কোনও পরিবহন ব্যবস্থা রাখেনি।
কথা হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন কর্মচারীর সঙ্গে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের জন্য কোনও পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কিন্তু অফিস করতে হবে। যারা পরিবহন সুবিধা পান তারা আনেক আগ থেকেই পেয়ে আসছেন। লকডাউন উপলক্ষে নতুন করে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনই চিত্র দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি এলাকায়। অফিসগামী মানুষের দাবি গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করতে পারলেও যেন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করে দেওয়া হয়। এলাকার দুরুত্ব অনুযায়ী যাতে ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
তবে প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন রাস্তায় লোকজনকে তুলনামূলক রাস্তায় দেখা গেছে। মানুষকে লকডাউন চলাকালে ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এই নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেবে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যাওয়ার জন্য ‘মুভমেন্ট পাসে’র ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে র‌্যাব-৩-এর সহযোগিতায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
তিনি জানান, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের নিদর্শনা অনুযায়ী যারা আদেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদেরকে জরিমানা করা হবে। জরিমানার পাশাপাশি জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না আসার জন্য এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
পলাশ কুমার বসু আরো বলেন, জরিমানা করা র‌্যাবের উদ্দেশ নয়। র‌্যাবের উদ্দেশ করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সরকারের সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানতে সচেতনতা তৈরি করা।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে বেলা একটা পর্যন্ত। এদিন সকালে রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকে গ্রাহকের তেমন চাপ লক্ষ করা যায়নি। কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণ গ্রাহকের চাপ কম থাকলেও অন্যান্য গ্রাহকের উপস্থিতি রয়েছে। আমদানি ও রপ্তানিসংক্রান্ত কাজ চলছে।
গত মঙ্গলবার ব্যাংক খোলা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের উপজেলা শহরের একটি শাখা খোলা থাকবে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। আর সিটি করপোরেশন এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা প্রতি কর্মদিবসে খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রধান শাখাসহ বৈদেশিক মুদ্রায় অনুমোদিত ডিলার শাখা খোলা রাখতে হবে। অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এ সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে।
এ বিষয়ে তেজগাও, মহাখালী ও কাওরান বাজার এলাকার কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, জরুরি লেনদেন ছাড়া অন্য কাজে ব্যাংকে কেউ আসছেন না। যারা এসেছেন, তাদের বেশির ভাগই ব্যবসা সংক্রান্ত ও টাকা তোলার জন্য।
কঠোর বিধি নিষেধের আওতায় প্রথমে ব্যাংক ব্যাংক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ায় ১৩ এপ্রিল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ওই দিন বেশির ভাগ ব্যাংকেই বাইরে গ্রাহকের লম্বা লাইন লক্ষ করা গেলেও ব্যাংকগুলোতে টাকা উত্তোলনের চাপ নেই।


বিজ্ঞাপন