শিক্ষক কর্তৃক বলাৎকারের ঘটনায় বাদিকে হুমকি

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : শিক্ষক কর্তৃক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা দিতে দেয়নি অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুল আলম আঙ্গুরের লোকজন। জানে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন তারা। ফলে ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও মামলা দিতে পারছেনা নির্যাতিতের পরিবার।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানান, আমি মামলা দেওয়ার জন্য রৌমারীতে গেলে কিছু লোকজন আমার পথরোধ করেন। এবং এঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বা থানায় মামলা দিলে জানে মেরে লাশগুম করার হুমকি দেন হুজুর আঙ্গুর মিয়ার ভাড়াটে লোকজন। ফলে জানের ভয়ে দ্রুত রৌমারী থেকে চলে আসি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ আমাদের বিচার আল্লাহ ছাড়া আর কার কাছে দিব।
উল্লেখ যে, গত রোববার সকালে এক শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নটানপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার এ ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা কোর্ট মসজিদের ইমামতি পদ থেকেও ওই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন মসজিদ কমিটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কোর্ট মসজিদের সভাপতি আল ইমরান এবং নটানপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সফি আহমেদ।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী জানান, প্রথমদিন হুজুর তাকে শরীর টিপে দেওয়ার কথা বলে হুজুর জোর করে তার পুরুষাঙ্গে হাত বুলিয়ে দিতে বাধ্য করেন। পরে তিনি নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে বলাৎকার করেন।বিষয়টি স্বজনদের জানালে অন্য শিক্ষকসহ মাদ্রাসা কমিটির কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন নির্যাতনের ওই শিশুর বাবা।
নটানপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সফি আহমেদ বলেন, হুজুরকে গণধোলাই দেওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বিক্ষুদ্ধ জনতা ওই হুজুরকে বেদম মারপিট করেন। নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীর জবান বন্দি ও স্থানীয়দের দাবির মুখে ওই শিক্ষককে তাৎক্ষনিক মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নির্যাতিত ওই শিশুর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ছেলেকে কুরআনের হাফেজ বানানোর জন্য মাদ্রাসায় পড়েতে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিকৃত ও কুরুচিপূর্ণ শিক্ষক আঙ্গুর হোসেন আমার ছেলের জীবনটা ধ্বংস করে দিলো। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।


বিজ্ঞাপন