মিতুকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে ‘ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে’র নিরলস প্রচেষ্টা

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর সহযোগী বিভাগ ‘উইমেন্স ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার’ দীর্ঘদিন যাবত সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত ও বিপদগ্রস্ত নারীদের সহযোগিতায় কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের ঘটনার অবতারণা।


বিজ্ঞাপন

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার সূত্রে জানা যায়, গৃহকর্মী মিতু। বয়স ১৪ বছর। বাবা বেচেঁ নেই, মা প্যারালাইজড, মিতু ও তার মা মিতুর নানির বাড়িতে থাকত। মিতুর আর কোন ভাইবোন নেই। বিগত ২ মাস পূর্বে মিতু তার মাকে নানির কাছে রেখে এক দুঃসম্পর্কীয় মামার সহযোগিতায় জনৈক বাদল এর গুলশানস্থ বাসায় ৩ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কাজ নেয়।

কাজে আসার পর গৃহকর্ত্রী তাকে ঠিকমত খেতে দিতো না। কাজ ঠিকঠাক মত না করলে মারধর করত। মিতু তাদের বাসায় থাকতে চায় না বাড়ি চলে যেতে চায়, লকডাউন থাকায় তাকে বাড়ি পাঠাতে পারে না।

জানা যায়, গত (১৩ মে ) মিতু বাড়ি যাওয়ার জন্য জেদ করে এবং অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি করলে বাড়ির মালিক ভয় পেয়ে গুলশান থানায় ফোন দিলে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে থানায় নিয়ে আসে। থানা থেকে তার আশ্রয় এখন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার এ।

অন্যান্য ভিকটিমের মত মিতুকেও তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার। এটা তাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের পরিমিত দায়িত্ব। প্রতিদিনই কেউ না কেউ তাদের এ দায়িত্বের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যায়। আর তখনই উইমেন্স সাপোর্ট সেন্টারের কর্মদক্ষতা যেন দ্বিগুন বেড়ে যায়।

আরো জানা যায়, দেশে দীর্ঘদিন যাবৎ নারী নির্যাতন, নারী সহিংসতা ও নারী ধর্ষণ ক্রমশঃ বেড়ে গেছে। এ অবস্থার লাগাম টেনে ধরার জন্য পুরুষ পুলিশের পাশাপাশি নারী পুরুষরাও নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদেরকে সাহস যুগিয়েছেন এবং পরিচর্যার দায়িত্ব নিয়েছেন।

উইমেন্স ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার ইতিমধ্যে নারীকেন্দ্রিক কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এমনকি পুলিশ বিভাগে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। প্রমাণ করেছেন পুরুষের পাশাপাশি, যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে নারী-পুলিশরাও কম যান না। সুযোগ ও সময় পেলে তারাও স্বাক্ষরতার পরিচয় বহন করতে পারেন।