উদাসীনতায় নৌ-দুর্ঘটনা!

এইমাত্র জাতীয় জীবন-যাপন

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জানে না বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ পুলিশ


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের একমাত্র নৌ আদালতে ১৫৭০টি মামলা বিচারাধিন। একের পর এক ঘটেই চলছে নৌ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বিআইডব্লিউটিএর অভিযোগের তীর নৌ পুলিশের দিকে থাকলেও নৌ পুলিশ বলছে, সচেতন হতে হবে সব পক্ষকে। আর বিশেষজ্ঞরা দুষছেন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ বছর ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে রাফিত আল হাসান নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় এসকে ৩ কোস্টার জাহাজের ধাক্কায়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৩৫ জনের লাশ উদ্ধার হয়। এর আগে গত বছর ২৯ জুন ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে এমভি ময়ূর-২-এর ধাক্কায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ছোট লঞ্চ মর্নিং বার্ড ডুবে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য করেন, এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকা-। এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি এরই মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ ঘটনায় ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল এবং ১ জুন ২০২০ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়।
এদিকে, পদ্মার বুকে পিনাক ৬ ডুবে যাওয়ার দুঃসহ স্মৃতি এখনো মুছে যায়নি স্বজনহারাদের মন থেকে। ৭ বছর আগে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফেরার পথে কয়েকশ’ যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া পিনাকের ৭০ জন যাত্রীর এখনো হদিস মেলেনি। ঈদের আগে-পরে এ ধরণের দুর্ঘটনা যেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লকডাউনের মধ্যে স্পিডবোট চলল কীভাবে সেটি দেখার দায়িত্ব ছিল নৌ পুলিশের।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্পিডবোট ঘাট বন্ধ। আমরা এটাকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করেছি। আশপাশে চুরি করে স্পিডবোট চালিয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নৌপুলিশ রয়েছে তারা যদি আর একটু সচেষ্ট থাকতেন তাহলে চুরি করে নৌযান চালানো রোধ হতো। আর নৌ পুলিশের ব্যাখ্যা, সচেতন হতে হবে সবাইকে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সাল থেকে গত ২৬ বছরে ৬৬১টি লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ৫৪৩১ ও নিখোঁজ প্রায় ১৫০০ জন। নদী নিরাপত্তাবিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গরের তথ্যমতে, ২০০৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১৪ বছরে ৫৩৫টি বড় নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এ সময়ে দুর্ঘটনা তদন্তে ৮৬৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এত কমিটি করার পরও নৌ-দুর্ঘটনা কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্ষম হয়নি।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে সদ্য পেরিয়ে আসা ২০২০ সালে দেশে কেবল নৌ-দুর্ঘটনায়ই নিহত হয়েছেন অন্তত ৩১৩ জন। পরিসংখ্যান বলছে, নিহতের এ সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় কম ছিল। কয়েক বছর আগে ২০১৭ সালে ‘জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ’ উপলক্ষে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি ‘৫০ বছরে নৌ-দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান’ প্রকাশ করে। পরিসংখ্যান অনুসারে পূর্ববর্তী ৫০ বছরে দেশে নৌ-দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২০ হাজার ৫০৮ জন। ওই ৫০ বছরে দেশে অন্তত ২ হাজার ৫৭২টি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় সম্পদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৪১৭ কোটি ২০ লাখ টাকার। দীর্ঘ এ সময়ে দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানের সংখ্যা ২ হাজার ৬৭২। এর মধ্যে ৯০১টি নৌযান কোনোদিনই উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
নৌ-পরিবহন পরিচালনা ও চলাচলসংক্রান্ত বিষয়ে এবং এ-সংক্রান্ত অপরাধের তদন্ত ও বিচার দ্য ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৬ (আইএসও ১৯৭৬) অনুযায়ী চলছে। ওই আইনের ৪৭ ধারা অনুযায়ী, সরকার কর্তৃক নৌ-পরিবহন সংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য এক বা একাধিক মেরিন কোর্ট (নৌ-আদালত) প্রতিষ্ঠার কথা বলা আছে। মেরিন কোর্টের বিচারক প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। বর্তমানে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে এ পদে পদায়ন করা হয়। এ আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ৭০ নং ধারায় পাঁচ বছরের কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা অর্থদ-ের বিধান আছে। আইনের ৫২ (২) ধারা অনুযায়ী মেরিন কোর্টের অতিরিক্ত হিসাবে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আদেশ দেয়ার ক্ষমতা আছে।
এছাড়া নৌযান চলাচলের অনুমোদন, নদীদূষণ, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, অন্য নৌযানের সঙ্গে সংঘর্ষসহ নৌ-দুর্ঘটনা হতে পারে এ রকম অন্যান্য অপরাধের বিষয়ে পৃথকভাবে শাস্তির বর্ণনা আছে। অভিযুক্ত হিসেবে নৌযানের চালক, সহকারী, প্রকৌশলী, মালিক পক্ষ ও কোম্পানিকে শাস্তি দেয়ার বিধান আছে। ১০ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে অর্থদ-ের ক্ষেত্রে পরিশোধ ব্যর্থতায় কারাদ- প্রদানের বিধান আছে। শাস্তির মাত্রা খুবই লঘু এবং জরিমানার পরিমাণও অনেক কম। এ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত নৌযান ও ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের পৃথক কোনো বিধান নেই।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার নৌ-দুর্ঘটনার বিচারের জন্য ঢাকায় সারা বাংলাদেশের জন্য শুধু একটি মেরিন কোর্ট (নৌ আদালত) গঠন করে। ওই আদালতে বর্তমানে ১৫৭০টি মামলা বিচারাধীন। তার মধ্যে নৌ-দুর্ঘটনায় প্রাণহানির অভিযোগে শুধু ১৮টি মামলা চলমান আছে। ১৯৭৬ সালে আইন কার্যকর হলেও ৪৪ বছর ধরে শুধু একটি মেরিন কোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের নৌ-দুর্ঘটনাগুলোর অন্যতম আলোচিত ঘটনা হলো ২০০৩ সালের ৮ জুলাই, ভোলাগামী এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ চাঁদপুরে এসে নদীতে ডুবে গেলে ৪০২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট ২০০৪ সালে ঢাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করে। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞ আদালত ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদানের রায় দেন। ওই রায়ের বিপক্ষে বিবাদী পক্ষ হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করে। ৫ জুন ২০১৮ হাইকোর্ট বিভাগ নি¤œ আদালতের রায় বহাল রাখেন। বিবাদী পক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করলে তা সর্বোচ্চ আদালতে এখন বিচারাধীন। এটি ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে দায়ের হওয়া একমাত্র মামলা, যা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, হাইকোর্ট বিভাগ নদীকে আইনি ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুগান্তকারী রায় প্রদান করেছেন। ওই রায়ে হাইকোর্ট নদী রক্ষায় পৃথক আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৩ এপ্রিল ২০১৮ জাতীয় নদী কমিশন সারা দেশের নদী রক্ষায় আটটি বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ও পরিবেশ আদালত আইন ২০১০ অনুযায়ী, পরিবেশের দূষণ রক্ষায় পরিবেশ আদালত ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিধান আছে। ৯ জুলাই ২০২০ জাতীয় সংসদে জিএম কাদের এমপি নৌ-দুর্ঘটনা বিচারের জন্য পৃথক আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি করেন।
নদীপথকে নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে সরকার পৃথক নৌ পুলিশ গঠন করেছে। একজন ডিআইজি ও তিনজন অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে নৌ পুলিশ গঠন করা হয়েছে। নৌ পুলিশের কার্যক্রমের জন্য একজন পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে কয়েকটি থানার সমন্বয়ে পৃথক নৌ এলাকা গঠন করা হয়েছে। সারা দেশকে আটটি বিশেষ নৌ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদি সরকার শুধু নদী এলাকায় অপরাধ দমন করার উদ্দেশে পৃথক পুলিশ ইউনিট গঠন করতে পারে, সেক্ষেত্রে নদী রক্ষা, দূষণ প্রতিরোধ ও নৌ-দুর্ঘটনা বিচারের উদ্দেশ্যে সারা দেশে ২০-৩০টি নৌ আদালত গঠন করা উচিত।
কিন্তু নৌপথে একই দুর্ঘটনায় দুই আইনে দুই মামলা করার কারণে সুবিধা পাচ্ছে আসামিপক্ষ। ১৯৭৬ সালের অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, নৌপথে দুর্ঘটনার মামলার বিচার হওয়ার কথা নৌ আদালতে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একই ঘটনায় নৌ আদালতের পাশাপাশি নিয়মিত বিচারিক আদালতেও ফৌজদারি অপরাধের বিচার চলছে। আর এই সুযোগই নিচ্ছে আসামিপক্ষ। তারা একই ঘটনায় দুই মামলার বিচারের মুখোমুখি করার অজুহাত দেখিয়ে মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছে।
নৌ দুর্ঘটনার মামলা নৌ চলাচল অধ্যাদেশে করার জন্য ১৯৯৪ সালে নির্দেশনা দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমন সিদ্ধান্তের কথা জানে না বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশ।
পদ্মায় সম্প্রতিতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর নৌ দুর্ঘটনায় বিচারের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এর আগে ২০১৪ সালে একই নৌপথে পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চডুবির ঘটনায় অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ও ফৌজদারি দ-বিধিতে দুটি মামলা হয়। হাইকোর্ট এ ঘটনায় নৌ আদালতে চলমান মামলার বিচার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন বলে জানিয়েছেন নৌ আদালতের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্টের ২৬ ধারা অনুযায়ী, একই ঘটনার জন্য দুই আইনের অধীনে যদি অপরাধ হয়, তখন বিচার চলবে একটি আইনের অধীনে। জেনারেল রুলসই হলো, পরের আইনটা আগের আইনের থেকে প্রাধান্য পায়। বিশেষ আইন সব সময় প্রাধান্য পাবে।
নৌ দুর্ঘটনায় সাধারণ আইনে মামলা করার প্রবণতা ১৯৯৪ সালেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছিল। ওই বছর মন্ত্রণালয়টি নৌ দুর্ঘটনায় দ-বিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা না করার জন্য দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, নৌ দুর্ঘটনায় নৌ চলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ না নিয়ে দ-বিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় থানা মামলা নিয়ে থাকে, যা মোটেও অভিপ্রেত নয়।
অবশ্য এখনো নৌ চলাচল অধ্যাদেশের বাইরে দ-বিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করছে নৌ পুলিশ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় স্পিডবোট দুর্ঘটনার মামলাটিও দ-বিধির কয়েকটি ধারায় করেছে পুলিশ। এর আগে গত বছরের ২৯ জুন বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ দুর্ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দ-বিধিতে মামলা করা হয়। আর নৌ চলাচল অধ্যাদেশে নৌ আদালতে মামলা করে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। নৌ আদালতের প্রসিকিউটিং কর্মকর্তা বেল্লাল হোসাইন বলছেন, নৌ আদালতে বিচারাধীন কয়েকটি মামলায় উচ্চ আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ পেয়েছে আসামিপক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মনে করেন, নৌ দুর্ঘটনাসংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে অবশ্যই অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ প্রাধান্য পাবে। তিনি বলেন, একই নৌ দুর্ঘটনার একই ঘটনায় দুটি মামলা হওয়ার কারণে নৌ আদালতে যেসব মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে, সেগুলো যাতে চালু হয়, তা নিশ্চিতে খুব শিগগির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দেশে নৌ দুর্ঘটনাসংক্রান্ত মামলার বিচারের জন্য ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে একটিমাত্র নৌ আদালত রয়েছে। নৌ চলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী নৌ আদালত গঠিত হয়। এই অধ্যাদেশে নৌ দুর্ঘটনাসংক্রান্ত মামলা, তদন্ত ও বিচারের নিয়মকানুন বিশদভাবে বলা আছে।
নৌ দুর্ঘটনার মামলা নৌ চলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি জানতেন না বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক ও নৌ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আতিকুল ইসলাম। তাঁরা বলেন, এ বিষয়ে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।