যশোরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক মাঠে আছে পুলিশ

অপরাধ

মো. সুমন হোসেন, যশোর : যশোরে গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের হার অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে যশোর জেলায় চলছে সর্বাত্বক কঠোর লকডাউন।


বিজ্ঞাপন

করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রথমসারির সম্মূখযোদ্ধা হিসাবে দিন-রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ যশোর।

অতি প্রয়োজন ব্যতিত সর্বসাধারণকে ঘরে রাখতে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ২৪ শে জুন, যশোর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম(বার), পিপিএম নিজে একটি টিম নিয়ে সদর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বসানো চেকপোস্ট তদারকি করেন।

পুলিশ সুপার চেকপোস্টে নিজে পণ্যবাহী যানবাহন চেক করেন এবং বেশ কয়েকটি যানবাহনে একাধিক লোক থাকায় তাদের নামিয়ে দেন এবং তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেন।

 

এরপর তিনি বেলা বার টায় যশোর শহরের অন্যতম ব্যস্ততম স্থান দড়াটানা মোড় পুলিশ চেকপোস্টে অবস্থান করেন এবং সাংবাদিকবৃন্দের সাথে জেলার করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন গত কয়েকদিন ধরে জেলার করোনা সংক্রমণের হার অপেক্ষাকৃত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের সাথে বৈঠক করে সকলের সর্বসম্মতিক্রমে আগামী সাত দিন জেলায় কঠোর লকডাউন করা হয়েছে।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

যশোর জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় একশতটি পুলিশি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।

একই সাথে যশোর জেলার সাথে পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা শুধুমাত্র জরুরী সেবা ব্যতিত্ব সম্পূর্ণ বন্দ করে দেওয়া হয়েছে।

নিজেদের স্বাস্থ্য সূরক্ষার জন্য এবং যশোরকে সূরক্ষিত রাখতে আবারও সকলকে সরকারি বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে মেনে চলার আহবান জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, “ক” সার্কেল, যশোর, মোঃ তাজুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ, কোতয়ালী মডেল থানা, যশোর সহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ