মাল্টায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসী হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

আন্তর্জাতিক জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : মাল্টায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসী হাইকমিশনার আসুদ আহ্‌মেদ গত ২৪ জুন সকালে সেদেশের রাষ্ট্রপতি ভবন সান এন্টন প্যালেস -এ রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লার কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। পরিচয়পত্র পেশের পর মাল্টার রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লার সাথে একটি একান্ত বৈঠকে হাইকমিশনার মাল্টার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।


বিজ্ঞাপন

মাল্টার রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ এবং মাল্টার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জানান যে, এই সম্পর্ক আরো ফলপ্রসূ এবং মজবুত করা সম্ভব। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান, অভিবাসনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ড. জর্জ ভেল্লা গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন, পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে মর্মে ব্যক্তিগত হতাশা ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রপতি ড. ভেল্লা বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট নিরসনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম অর্থনৈতিক ভিত্তি বিনির্মাণে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে মাল্টার কারিগরি সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব করেন। তিনি সাম্প্রতিককালে মাল্টা থেকে অনিয়মিত হয়ে পড়া বাংলাদেশীদের ফেরত নিতে বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশী পেশাজীবীরা অধিকহারে নিয়মিতভাবে বৈধ কাজের অনুমতি নিয়ে মাল্টায় কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হাইকমিশনার আসুদ আহ্‌মেদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে মাল্টায় দক্ষ ও অর্ধদক্ষ বিভিন্ন পেশাজীবীদের কর্মসংস্থানের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে দুই দেশ সম্মত হয়েছে এবং অচিরেই একটি খসড়া সমঝোতা স্মারক মাল্টা সরকারের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করা হবে এবং চুক্তিটি স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশ যেমন মাল্টার ক্রমবর্ধমান শ্রমিকের চাহিদা পূরণে সহায়তা করতে পারবে তেমনি অবৈধ অভিবাসনের প্রক্রিয়াটিও বন্ধ করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রপতি জর্জ ভেল্লা সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে তার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।