ফের তালেবানের আফগানিস্তানে শরিয়া শাসন

আন্তর্জাতিক

পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড * চুরির দায়ে হাত কর্তন


বিজ্ঞাপন

* নারীদের একা বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা

*পুরুষদের বাধ্যতামূলক দাড়ি

আজকের দেশ ডেস্ক : আফগানিস্তানে দখল করা অঞ্চলগুলোতে শরিয়াহ শাসন চালু করেছে তালেবান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আরিয়ানা নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আফগান পুরুষদের দাড়ি রাখতে, নারীদের পুরুষ অভিভাবক ব্যতীত বাড়ির বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং বিয়ের দেনমোহর ও যৌতুক সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করেছে তালেবান। শাস্তি হিসেবে পাথর ছুঁড়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর, চুরির দায়ে হাত কেটে দেওয়ার বিধান। এমনকি কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই কাউকে বিচারের সম্মুখীন করছে। তাখার রাজ্যের কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মাদ আযম আফযালী বলেন, তালেবানের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সেখানে মেডিক্যাল-ক্লিনিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। সেখানে বর্তমানে নাগরিক সেবার অস্তিত্ব নেই।

গভর্নর আবদুল্লাহ কারলুক বলেন, তালেবানরা তাদের দখলকৃত এলাকায় বহু সরকারি স্থাপনা ধ্বংস করে ফেলেছে।
মোদি বাংলাদেশে এলে সন্ত্রাসী ও তালেবানের সঙ্গে জঙ্গি হয়ে বাংলাদেশকে আফগানিস্তানে পরিণত করার হুমকি দিয়েছেন ছবিতে দেয়া এই বক্তা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ও সংগঠনের বিক্ষোভে বাংলাদেশকে আফগানিস্তানে পরিণত করার হুমকি দেয়া হয়েছে। নিজেদের তালেবানের মতো জঙ্গিতে রূপান্তরের কথাও জানান হয়েছে।

বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন (World sunni movement) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সার্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব(World humanity revolution) এর আহ্বায়ক সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত এসব ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রাবাদি ও সকল বাতিল ফিরকার বিরুদ্ধে ও সতর্কবাণীর বক্তব্যের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো ঃ সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, ঈদে আজমেরই মূল উপহার প্রিয়নবীর দান সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সত্যের মূল অস্ত্বিত্ত্বের ঠিকানা ঈমানের পবিত্র কলেমা ও এর ভিত্তিতে আল্লাহতালার নির্ধারিত দ্বীন, সত্য, মুক্তি ও সুরক্ষার একমাত্র ঠিকানা ইসলাম। যে কলেমাই আমাদের আত্মা ও প্রাণ, যে দ্বীন ও আমাদের জীবন অবিচ্ছেদ্য, যা ব্যতীত জীবন আঁধার বিনাশ আবর্জনা মাত্র। কিন্তু আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যে, এ দ্বীনের ছদ্মনামেও অনেক ধোকা, প্রতারণা, বিকৃতি, মিথ্যা ও পথভ্রষ্টতা চলছে।

পবিত্র হাদিছ শরীফেও এসব ইসলামের ছদ্মবেশী বাতেল ফেরকা সম্পর্কে সতর্কবাণী রয়েছে, “ইসলামের নামে ৭৩ দল হবে এবং একটি মাত্র সত্যদল (আহলে ছুন্নাত ওয়াল জামাত) ব্যতীত বাকী সবাই জাহান্নামের অন্তর্গত” (মেশকাত শরীফ ৩০ পৃষ্ঠা, আবু দাউদ শরীফ ৫৮৪, ৬৩১, ৬৬৯ পৃষ্ঠা, ইবনে মাজাহ শরীফ ২৯৬ পৃষ্ঠা, তিরমিজি শরীফ ২য় খণ্ড ৮৮, ৮৯ পৃষ্ঠা)। এসব মোনাফেক বাতেল ফেরকা ধোকা ও প্রদর্শনী হিসেবে বাহ্যিক কিছু বিষয় খুব দেখায় আর ভিতরে বাতেল আকিদা প্রচার করে ঈমান বিনষ্ট করে। বিশেষভাবে পবিত্র কোরআন হাদিছ শরীফের বিকৃত অপব্যাখ্যা করে নবী রাসুলদের শানে খেলাফ আকিদা প্রচার করে আত্মা বিনষ্ট করে, খোদার আইন শরিয়া ইত্যাদি শব্দে দ্বীনের বিপরীত ভয়ানক অনাচার ও মনগড়া অবৈধ বাড়াবাড়ি ফতোয়াবাজি করে দ্বীন বিকৃত করে, জিহাদের নামে খুন জুলুম বর্বরতা চালিয়ে দ্বীন মিল্লাত মানবতা সভ্যতা ধ্বংস করে, মা বোনদের মানুষসত্ত্বা মুমিনসত্ত্বা মর্যাদা অধিকার শিক্ষা বিকাশ রূদ্ধ হরণ করে আইয়ামে জাহেলিয়াত কায়েম করে, অযৌক্তিক মনগড়া ধর্মরাষ্ট্রের নামে ইসলামের প্রকৃত খেলাফতের দিশা তথা দ্বীনী মূল্যবোধ ভিত্তিক সার্বজনীন গণতন্ত্র স্বাধীনতা অধিকার উৎখাত করে নিজেদের ফেরাউনী দস্যুতা বর্বরতা স্বৈরতন্ত্র চাপিয়ে দেয়।

ওহাবী, মওদূদী, শিয়া, কাদিয়ানী, সালাফী, লামজহাবী, তালেবান, মেওয়াতী তবলীগী ইত্যাদি ঈমান বিনাশী দ্বীন বিকৃতিকারী বাতেল ফেরকা থেকে সত্য স্বাধীনতা মানবতা অধিকার নিরাপত্তা মর্যাদা প্রগতি ভালবাসা ও নাজাতের প্রকৃত দ্বীনকে রক্ষায় প্রত্যেক ঈমানদার ভাই-বোন সচেতন ও দায়িত্বশীল না হলে দ্বীনের ছদ্মনামে এসব বেদ্বীনরাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রকৃত দ্বীন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।