যশোরে এক অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার

অপরাধ

মো. সুমন হোসেন, যশোর : ফেসবুকে ফেইক আইডির মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পেতে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রদীপ ঘোষকে (৫১) গ্রেপ্তার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।


বিজ্ঞাপন

সোমবার ভোর রাতে তালার ঘোষনগরস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ডকুমেন্টস উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রদীপ সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের সুবোধ ঘোষের ছেলে। তিনি পাশের উপজেলা পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারের চা বিক্রেতা ছিলেন।

যশোর জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রদীপ ঘোষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে সৌমদীপ ঘোষ (সুসান্ত ঘোষ) নামে পরিচয় দিয়ে একটি ফেইক আইডি খুলেন।

তিনি নিজেকে জার্মান প্রবাসী পরিচয় দিয়ে জমি ক্রয়ের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রাণী দাসের কাছ থেকে গত জুন মাসে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে নগদ, বিকাশ ও চেকের মাধ্যমে মোট ২০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেন।

প্রদীপ ঘোষ ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে জমির দলিল তৈরির নামে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইেজের ৩ কপি ছবি, স্বাক্ষরযুক্ত নন জুডিশিয়াল ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প, স্বাক্ষরযুক্ত ৩টি চেকও নেন।

এরপর ওই শিক্ষিকা প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আত্মসাৎকৃত টাকাসহ অন্যান্য উপকরণগুলো উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। যার নং-৮।

যশোর পুলিশ সুপার মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখায় পাঠালে গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মামলাটির তদন্তাভার এসআই (নি.) শামীম হোসেনের ওপর অর্পন করেন।

এসআই মো. শামীম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম প্রদীপ কুমার ঘোষ ওরফে সঞ্জিত ওরফে সৌমদীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেন।

এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, বাদীর স্বাক্ষর সম্বলিত ব্লাঙ্ক চেক, বাদীর স্বাক্ষরিত ব্লাঙ্ক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প-৩টি, বাদীর এনআইডি কার্ডের ছায়ালিপি ২টি, ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বিভিন্ন দলিলের ছায়ালিপি, ৩টি মোবাইল সেট (ফেসবুক আইডি ব্যবহৃত ও বিকাশ নাম্বার), প্রদীপের ১টি পাসপোর্ট, সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকা উদ্ধার করে।

প্রদীপ ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে চায়ের দোকান চালাতেন।

পরে ফার্স্টফুডের ব্যবসা করতেন। ওই সময় কপিলমুনি সদরের পালপাড়ার জনৈক অনিমেশ মন্ডলের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।

সম্প্রতি তিনি কপিলমুনির বাজারের এক ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৮ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করে সেখানে বসবাস করেন।