নো ট্রেন ফাউন্ড!

এইমাত্র জাতীয়

একবার না পেলে বার বার চেষ্টার পরামর্শ


বিজ্ঞাপন

 

বিশেষ প্রতিবেদক : বিধিনিষেধ শিথিলে ঘোষণা আসার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে আজ থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, ১৫ জুলাই থেকে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চলাচল করবে।
টিকিট বিক্রির বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত (২১ জুলাই ঈদের দিন ব্যতিত) যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের বিদ্যমান আসন সংখ্যার অর্ধেক আসনের (৫০ শতাংশ) টিকিট ইস্যু করা হবে। এক্ষেত্রে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ জুলাইয়ের ঈদ যাত্রার টিকিট ১৪ জুলাই সকাল ৮টা থেকে শুধু অনলাইন ও অ্যাপের মাধ্যমে অগ্রীম ব্যবস্থাপনায় ইস্যু করা হবে।
তবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বারবার চেষ্টা করেও ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপসে প্রবেশ করতে পারছেন না অনেকে।
ভুক্তভোগী গ্রাহক রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, টিকেটের পাওয়ার জন্য সকাল ৮টা থেকে চেষ্টা করেছি। বারবার ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপসে প্রবেশ করতে পারেনি। রফিকুল ইসলাম নামের একজন যাত্রী (সরকারি চাকুরিজীবী) তাঁর ফেজবুক ওয়ালে আক্ষেপ করে লিখেছেন, রাজশাহী যাওয়ার জন্য অনলাইনে টিকিট কাটার চেষ্টা করেছি কিন্তু যতবারই রেলের ওয়েবসাইটে গিয়েছি ততবারই ‘নো ট্রেন ফাউন্ড’ দেখাচ্ছে।
কমলাপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল ৮টায় অনলাইনের সব টিকেটি দেওয়া হয়েছে। কোনও টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে না। সুতরাং সবাইকে নিশ্চিত থাকা দরকার তারা অনলাইন থেকেই টিকিট পাবেন।
তিনি বলেন, এখন ঘটনাটা হচ্ছে আগে আমরা অগ্রিম একদিনের জন্যে টিকিট বিক্রি করতাম। কিন্তু আজ একসঙ্গে চার দিনের অগ্রিম টিকিট ছাড়া হয়েছে। মানুষও ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য একসঙ্গে সার্ভারে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। যে কারণে আমাদের সার্ভার সবসময় লোড নিতে পারছে না। তবে একটি টিকিটও কাউন্টারে দেওয়া হবে না। অনলাইনের মাধ্যমেই সব টিকিট দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে একবার না পেলে বার বার চেষ্টা করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আমাদের ৭২টি ট্রেন যাওয়া আসা করবে। এখন এই ট্রেনগুলোতে যাওয়া ও আসার টিকিটের জন্য সবাই একসঙ্গে চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস সার্ভারে হিটের সংখ্যা কমলেই সবাই টিকিট পাবে।
অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে টিকিট বিক্রির কারণে আর মানুষের চাহিদা অধিক হওয়ায় দ্রুত সময়ে টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম। তিনি বলেন, ১৫ থেকে ২২ জুলাই যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। এক্ষেত্রে টিকিট শুধু অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাউন্টারে কোনো টিকিট দেয়া হবে না।
স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সিরাজগঞ্জ ঈদ করতে যাবেন ইকবাল হোসেন (গণমাধ্যম কর্মী)। সকাল ৬টা থেকে তিনি তার কলেজপরুয়া ছেলেকে নিয়ে বসে আছেন অনলাইনে। শতচেষ্টা করেও যোগার হয়নি টিকেট। উপায়ন্তু না পেয়ে কমলাপুর টার্মিনালে আসেন বিকল্প ওয়ে খুঁজতে। তিনি হন্য হয়ে ছুটছেন এদিক ওদিক। দৈনিক সকালের সময়কে তিনি বলেন, ট্রেনের টিকেট যেন সোনার হরিণ। এরকম অভিযোগ আরো অনেকের। টিকেট না পেয়ে অনেকে আক্ষেপ জানাচ্ছেন ফেসবুক, টুইটারে। তবে যারা টিকেট পেয়েছেন তাদের যেন সত্যি সোনার হরিণ পাওয়ার আনন্দই ধরা দিয়েছেন।
রেলমন্ত্রনালয় সুত্রে জানা গেছে, খুলনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকায় কুরবানির পশু সরবরাহের জন্য গত বছরের মতো এবারও দুটি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে আগামী ১৭ জুলাই থেকে চলবে ক্যাটল স্পেশাল নামে এ ট্রেন। একটি ট্রেন খুলনা থেকে বেলা একটায় ছেড়ে রাত ৩টায় ঢাকায় পৌঁছবে। অপরটি বিকাল ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছবে ভোর পৌনে ৪টায়।
জানা গেছে, ট্রেন দুটিতে খুলনা, যশোর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জসহ এই রুটের প্রতিটি স্টেশন এলাকার খামারিরা সুবিধা নিতে পারবেন। খুলনা থেকে গরুপ্রতি ভাড়া লাগবে প্রায় ৭৩৫ টাকা। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গরুপ্রতি ভাড়া লাগবে প্রায় ৫৯২ টাকা।
রেলওয়ের সুত্রে জানা গেছে, ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সম্পর্কে ইতোমধ্যে খুলনা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ, ঈশ্বরদী, আবদুলপুর, রাজশাহী, উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুরার বড়াল ব্রিজ, লাহিড়ী মোহনপুর, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব স্টেশনসহ বিভিন্ন স্টেশন এলাকার খামারিদের জানানো হয়েছে। এসব স্টেশন থেকে খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে ওয়াগন বুকিং করতে পারবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবাইদুল্লাহ জানান, ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গত ৯ জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়। এখন ট্রেনে পশু পরিবহনের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি করে গরু পরিবহন করা যাবে। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৪টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন ছাড়বে। রাত আড়াইটা থেকে পৌনে ৪টার মধ্যে তেজগাঁওয়ে পৌঁছাবে। ফিরতি ট্রেন ভোর ৫টায় তেজগাঁও থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবে।
রেলওয়ের সূত্রে আরো জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৩০ জুন থেকে সারাদেশে রেলওয়ের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ সাত দিনের জন্য শিথিল করেছে। এ অবস্থায় ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে আন্তনগর ও মেইল কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে।
আন্তনগর ট্রেন :
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/তূর্ণ ও মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি রুটে যমুনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস।
ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন রুটে একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রূপসা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ভাঙা রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢালারচর রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোবরা রুটে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন-রাজশাহী রুটে বাংলাবান্দা এক্সপ্রেস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন-ঢাকা রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
মেইল ট্রেন :
অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল ও কর্ণফুলী কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে সাগরিকা কমিউটার, ঢাকা-জারিয়া ঝাঞ্জাই রুটে বলাকা কমিউটার, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে জামালপুর কমিউটার, ঢাকা-সিলেট রুটে সুরমা মেইল, ঢাকা-আখাউড়া রুটে তিতাস কমিউটার, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, চট্টগ্রাম-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রুটে ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মহুয়া কমিউটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ঢাকা কমিউটার, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রকেট মেইল, খুলনা-রহনপুর-খুলনা-গোয়ালশ রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে পদ্মরাগ, পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে উত্তরা এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-বিরল রুটে বিরল কমিউটার, লালমনিরহাট-সান্তাহার-বগুড়া কমিউটার এবং বোনারপাড়া-সান্তাহার কলেজ ট্রেন।
মানতে হবে যেসব শর্ত :
মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব ও পশ্চিম) বরাবরে পাঠানো এক চিঠিতে রেলওয়ের উপ-পরিচালক (অপারেশনস) মো. রেজাউল হক বেশ কিছু নিয়ম মেনে ট্রেন চলাচলের কথা উল্লেখ করেছেন। নিয়মগুলো হচ্ছে, যাত্রার দিনসহ ৫ দিন আগে আন্তনগর ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। আন্তনগর ট্রেনের সব টিকিট একসঙ্গে অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। কাউন্টার থেকে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে না। অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রীত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না বা ফেরত নেওয়া হবে না। আন্তনগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণ ক্ষমতার শতকরা ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করতে হবে। রাত্রীকালীন ট্রেনে বেডিং সরবরাহে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জারিকৃত সব বিধিনিষেধ পালন নিশ্চিত করতে হবে।
বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার (চিপস, বিস্কিট ইত্যাদি) সরবরাহ করা যাবে।
এতে আরও বলা হয়, এইচওআর, রেলওয়ে পাস এবং মিলিটারি ওয়ারেন্টের টিকিট আগের মতো ইস্যু করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ২ শতাংশ টিকিট রেলওয়ের কর্মচারীদের জন্য যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে (কাউন্টার হতে ইস্যুর ব্যবস্থা রাখতে হবে)। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে কোনও কর্মচারী জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কমিউটার ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্টার থেকে বিক্রি করতে হবে। প্লাটফরমে প্রবেশকালে ও ট্রেনে যাত্রীরা যাতে অবশ্যই মাস্ক পরা থাকেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
চিঠিতে রেজাউল হক আরও বলেন, ট্রেনে আরোহণ ও অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে। কুলি, ট্রলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। ট্রেনের প্রতিটি কোচ ও ইঞ্জিন চলাচলের আগে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সব সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের জারি করা নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।


বিজ্ঞাপন