নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন সলিমপুর এলাকায় কোরবানির গরুবাহী ট্রাকে ডাকাতিকালে ড্রাইভার আব্দুর রহমান @আবদুল (৩৫) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সাদ্দাম হোসেন@বাচা (৩১) এবং মোঃ তুহিন (১৯)’কে সাভারের দেওগা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই, আনুমানিক ৪ টার সময় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন সলিমপুর এলাকায় কোরবানির গরুবাহী ট্রাক ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে ট্রাক ড্রাইভার আব্দুর রহমান @ আবদুল (৩৫) গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনা এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায় অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনায় জড়িত আসামীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের লক্ষে র্যাব-৭ ছায়াতদন্ত শুরু করে।
এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা মাধ্যমে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুই জনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার ২৪ জুলাই সাড়ে ৫ টার সময় র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন দেওগা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সাদ্দাম হোসেন @ বাচা (৩১), পিতা- মৃত আব্দুল করিম, সাং- চুনাতিয়া, থানা- রাউজান, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- ছিন্নমুল, রাঙ্গামাটি শাখা, মনোয়ারা বেগমের বাড়ী, থানা- সীতাকুন্ড, জেলা- চট্টগ্রাম এবং মোঃ তুহিন (১৯), পিতা- মৃত আব্দুল করিম, সাং- চুনাতিয়া, থানা- রাউজান, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমানে- আরফিন নগর, থানা- বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম মহানগরীদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতিকালে ট্রাক ড্রাইভার আব্দুর রহমান @ আবদুল’কে গুলি করে হত্যার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী দুজন যথাক্রমে সাদ্দাম হোসেন @ বাচা ও মোঃ তুহিন চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন লিংক রোড এলাকার একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য।
এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার জন্য নিয়মিত তদন্তের পাশাপাশি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর ছায়া তদন্ত অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।