করোনা ও ডেংগু নিয়ন্ত্রনে করনীয় বিষয়ক অনলাইন ট্রেনিং ও সভা

জাতীয়

বিশেষ প্রতিবেদক : গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ আগস্ট হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্রান্ড বলরুমে রোগ নিয়ন্ত্রন শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত করোনা ও ডেংগু নিয়ন্ত্রনে করনীয় বিষয়ক একটি অন লাইন ট্রেনিং ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এম পি।


বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা.মোহাম্মদ বিল্লাল আলম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দীন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব ডা. অধ্যাপক এম এ আজিজ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ডেংগু এবং করোনা বিষয়ের উপর দুইটি প্রবন্ধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা.আহমেদুল কবীর।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক, এমপি বলেন, “ডেংগু যেন না হয় সে বিষয়ে নাগরিকদের সজাগ থাকতে হবে।” তিনি আরো বলেন “ডেংগু হলে নিয়ন্ত্রনে স্বাস্থ্যবিভাগ সেবা দেয়ার আপ্রান চেষ্টা করবে। তবে ডেংগু যেন না হয় সেজন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সচিব আলী নূর বলেন, “হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়ে লাভ হবে না, যদি সংক্রমনের মূল উৎস চিহ্নিত করে কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়। “

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, “মহামারি করোনা ভাইরাস যেন আর না বাড়ে যে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনা বেড়ে গেলে সামাল দেয়া যাবে না বা রাতারাতি হাসপাতাল বাড়ানো যাবে না। হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোরও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন “করোনা ডেডিকেটেড হিসেবে ডিএনসিসি এক হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে, সম্প্রতি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতাল তৈরী করা হয়েছে।”

এছাড়া ডেংগু প্রসঙ্গে মহাপরিচালক মহোদয় আরো বলেন, “ডেংগু হলে নিয়ন্ত্রনে স্বাস্থ্যবিভাগ সেবা দিবে তবে ডেংগু যাতে না হয় সেজন্য সিটি কর্পোরেশনকে কাজ করতে হবে। ”

অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ৭০০ চিকিৎসক তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেজ থেকে অনুষ্ঠানটি লাইভে সম্প্রচার করা হয় ।

এই অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল ৭১ টেলিভিশন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। মুল প্রবন্ধ দুটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইটে আপলোড করা হয়েছে ।

তথ্য ও ছবি সহায়তায়ঃ ডা. আফসানা আলমগীর খান ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার,জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রন কর্মসূচী, রোগ নিয়ন্ত্রন শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।