জাতির পিতার শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বর্নাঢ্য আয়োজন

অপরাধ

বিশেষ প্রতিবেদক : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।


বিজ্ঞাপন

এরপর, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এবং সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বিজয় সরণিস্থ বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থিত রুমি ভবনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর কর্তৃক জাতির পিতা ও ১৫ আগস্ট কালো রাতে শাহাদত বরণকারীদের স্মরণে আয়োজিত ক্ষুদে শিল্পীদের চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠান এবং বিএনসিসি সদস্যদের রক্তদান কর্মসূচি প্রত্যক্ষ করেন। অতঃপর, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শের-ই-বাংলা নগরস্থ গণভবন কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রক্তদান কর্মসূচি শেষে জাতির পিতার ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব, ছাত্র রাজনীতি, কারাজীবন, ছয় দফা, যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন দুরদর্শী পদক্ষেপ, বঙ্গবন্ধুর সমরনীতি, নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ উদ্যোগ, সর্বপোরি বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির জন্য জাতির পিতার অসামান্য অবদানের বিষয়ে আলোচনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এনডিসি শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট ১৯৭১ সালে শাহাদত বরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এরপর তিনি বলেন, জাতির পিতা জীবনের সর্বস্ব দিয়ে এদেশের মানুষের মুক্তি ও দেশের উন্নয়নের জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত শত্রুদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ফলে কিছু কুলাঙ্গার জাতির পিতাকে স্ব-পরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যা বাঙ্গালি ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতির পিতা দেশকে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সার্বিক অবকাঠামো ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শী নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

অতঃপর, তিনি বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। উন্নয়নের সেই গতি করোনা অতিমারির কারণে সাময়িকভাবে কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েছে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, খুব শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা অতিমারির প্রভাব কাটিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র “চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু” প্রদর্শন করা হয়।

পরিশেষে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজস্ব উদ্যোগে দুস্থ ও এতিম শিশুদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।