নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুর পিলারে এ পর্যন্ত পাঁচ বার ফেরি ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সেতুর ১০ নম্বর পিলারে কাকলী ফেরির ধাক্কার পর একটি ‘ভুয়া ছবি’ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে।
এমন অপপ্রচার চালালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৪ আগস্ট) পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কার ঘটনায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এ ছবিটি আসলে ভুয়া। এ ছবি ব্যবহার করে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সেতু কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ফেরির ধাক্কার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্যে বলা হচ্ছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি পিলারের পাইল ক্যাপ অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যাচ্ছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এ ছবিটি ব্যবহার করে নানা মন্তব্য লিখছেন। ফটো এডিটিং সফটওয়্যার কিংবা অ্যাপস ব্যবহার করে এডিট করে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে বলে ধারণা করছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এসব গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে আরও কঠোর অবস্থানে যাবেন তারা।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয় কাকলি নামের একটি ফেরি। ওই ঘটনার পর আড়াই ঘন্টার মতো বন্ধ থাকে এই রুটের ফেরি চলাচল।
এর আগে, গত সোমবার (৯ আগস্ট) একই পিলারে ধাক্কা দিয়েছিল বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের একটি রো রো ফেরি। সেই ঘটনার চার দিনের মাথায় আবারও পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটল।
এছাড়াও, গত ২০ জুলাই সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রো রো ফেরি শাহ মখদুমের তলা ফুটো হয়ে যায়। ২৩ জুলাই রো রো ফেরি শাহজালাল পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাট থেকে রওনা দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে যাচ্ছিল।
সেতুতে বারবার ফেরি ধাক্কার ঘটনায় শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মাসেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কা লাগার বিষয়ে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সেতু এখন পুরো জাতির সম্পদ, জাতীয়ভাবে মানুষ আহত হয়েছে এবং মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কাকে তুচ্ছ কোনো ঘটনা ও নিছক কোনো দুর্ঘটনা অথবা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়ে যাওয়া ভুল হবে। সেনাবাহিনীকে বলব, এ ব্যাপারে গভীরভাবে তদারকি করা দরকার। এখানে শষ্যের মধ্যে ভূত আছে কিনা তাও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
