ভেজাল ওষুধের বাণিজ্য বন্ধে শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠনের বিকল্প নেই : জাকির হোসেন রনি

স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : ভেজাল ওষুধের বাণিজ্য বন্ধে শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠনের কোন বিকল্প নেই বলে দাবি তুলেছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।


বিজ্ঞাপন

ওষুধ ব্যবসায়ী সম্মিলিত পরিষদের সদস্য সচিব এবং বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাবেক কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকির হোসেন রনি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, এই টাস্কফোর্স গঠন এখন সময়ের দাবি।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড ও বাবুবাজার কেন ভেজালের ওষুধের উৎস—এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নকল ওষুধ মিটফোর্ড–বাবুবাজারে তৈরি হয় না।

তবে এখানে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চলে আসায় এখন অনেকেই সাপ্লাই চেইন হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। তারাই গ্রামগঞ্জে এসব ওষুধ সরবরাহে ভূমিকা রাখছে।

এই বদনাম ঘোচাতে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দিয়ে জাকির হোসেন রনি বলেন, `দেশে এখন ওষুধের বিপ্লব চলছে। নকল ওষুধ শুধু পুরান ঢাকাতেই বিক্রি হচ্ছে না, সারা দেশেই হচ্ছে।

নকল–ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে ২০১৮ সালের ১০ মে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছিলাম।

এই টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে থাকবেন ওষুধবিদ্যা বিশেষজ্ঞ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ঔষধ প্রশাসন, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, ডিসিসিআই, এফবিসিসিআই, ওষুধ ব্যবসায়ী, ওষুধ শিল্প এবং ওষুধসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধি।

এই টাস্কফোর্স গঠিত হলে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী নকল–ভেজাল প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ এবং সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।’

নকল–ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে নিজের সংগঠনের সমালোচনাও করেন জাকির হোসেন রনি ।

তিনি বলেন, `নকল–ভেজাল প্রতিরোধে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বর্তমান কমিটির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

নকল–ভেজালকে সমিতির কেউ কেউ উৎসাহ দিয়েছেন। নকল–ভেজালকারীদের পুনর্বাসনও করেছেন কোনো কোনো নেতা।’

দ্রুত টাকা কামাতে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীর মধ্যেও অসুস্থ প্রতিযোগিতা আছে।

তা ছাড়া নিষিদ্ধ হলেও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে। আর এসব ফিজিশিয়ান স্যাম্পলই বেশি নকল হচ্ছে।

এ জন্য নকল–ভেজালকারীদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে বলে মত দেন ওষুধ ব্যবসায়ী সম্মিলিত পরিষদের সদস্যসচিব রনি।