পিরোজপুর প্রতিনিধি : অবশেষে স্বরূপকাঠীর মাদক সম্রাট নাসিরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গত বুধবার বিসারকান্দি এলাকায় বিশাল ফেনসিডিলের চালানসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গোপন সংবাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দক্ষ টিম অবশেষে মাদক সম্রাট স্বরূপকাঠীর নাসিরকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
সুচতুর মাদকবিক্রেতা অক্ষাত পরিবারের সন্তান আটঘর কুড়িয়ানার হরিহরকাঠির নার্সারি ব্যবসায়ী মো. আলমের ছেলে নাসিরের। বিপদগামী মাদক বিক্রেতার বাবা শশুরবাড়ী পূর্ব জগন্নাথকাঠীতে বসবাস করেন বহুদিন থেকে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলমের ছেলে নাসির মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। সুকৌশলে ঠান্ডা মাথার একটি শক্তিশালীচক্র নিয়ে মাদকব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকারবাসী আরও জানান, নাসির মাদক ব্যবসা করে লাখ লাখ টাকার পাহাড় গড়েছে। জগন্নাথকাঠীর নানা বাড়ীতে আলিশান প্রাসাদের কাজ চলছে পুরোদমে। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। আর এলাকায় ধরাকে সরাজ্ঞান করে যাচ্ছে বীরদর্পে।
এদিকে স্বরূপকাঠি পৌরসভার বহু ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আসলে নাসিরের পাশাপাশি তার বড় ভাইও চরম বিতর্কে জড়িয়ে আছে। এলাকায় এক নামে জুয়াখোর জাহিদ হিসাবে চিনে সকলে। জুয়া খেলেই নানা বাড়ীতে চমৎকার ভবন করেন। আর ছোট ভাইও পরিচিতির জন্য মাদক বিক্রেতা হয়ে টাকার পাহাড় জমাচ্ছে।
এদিকে মাদক সম্রাট গ্রেফতার হওয়ার পর তার অন্য সদস্যরা গা ঢাকা দিলেও কিছু কিছু বিক্রেতারা অবাদে চলাফেরা করে যাচ্ছে। মজার বিষয় সদর ইউনিয়নের জগন্নাথকাঠী এলাকায় প্রয়াত নূর হোসেন তাবলীকের বখাটে ছেলে মিজানুর চট্টগ্রাম হয়ে কাউখালি উপজেলায় বিশাল সিন্ডিকেট তৈরী করে বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মিজানের সেকেন্ড কমান্ডার মাদক সম্রাট মো. নাসির ও পৌরসভার কাওসার। সমাজের সাধারণ লোকদের ফাঁকি দিয়ে একচেটিয়া ভাবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। উপজেলাবাসীরা জানেন চরে কাঠ ব্যবসা করেন নাসির ও কাওসার। কিন্তু মিজানের সাথে বহুদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে উভয়ে। প্রতিবেশী মজনু নাসিরের প্রধান বিক্রেতার মধ্যে একজন। মজনু ধর্মীয় লেবাসে গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে দশ পিছ ইয়াবা বিক্রি করেন। পাশাপাশি মৃত হাসেন দোকানদারের ছেলে মাসুমও অন্যতম বিক্রতা সেকেন্ড কমান্ডার নাসিরের।
এ ব্যাপারে জেলা ডিবি প্রধান মিডিয়াকে বলেন, মামলা যেহেতু অন্য জেলায়। তারপরও আসামি আমাদের জেলায় তাই পরবর্তী সময়ে আমাদের শুদ্ধি অভিযান চালাতে সহজ হবে।