টেকনাফে ৩,৪০,০০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার ও ১ পাচারকারী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ৩,৪০,০০০ (তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো কিরিচ উদ্ধার; বন্দুকযুদ্ধে ১ (এক) জন ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

রবিবার ১২ সেপ্টেম্বর ভোররাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-০৯ হতে আনুমানিক ৭০০ গজ পূর্ব দিকে ন্যাচার পার্ক সংলগ্ন ডাবল জোড়া এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।


বিজ্ঞাপন

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় দ্রুত গমন করে ন্যাচার পার্ক সংলগ্ন ডাবল জোড়া নামক এলাকায় নাফ নদী তীরে অবস্থান গ্রহণ করে।

আনুমানিক সাড়ে ৪ টায় টহলদল দূর হতে ০৩ জন ব্যক্তিকে শূন্য লাইন অতিক্রম করে সাঁতরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে।

তৎক্ষণাৎ বিজিবি টহলদল তাদের আটকের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে টহল দলের উপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে।

ফলে ২ (দুই) জন বিজিবি সদস্য আহত হয়। এ সময় বিজিবি’র টহলদলটি সরকারী সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার স্বার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।

এসময়ে ২ জন ইয়াবা কারবারী ডুব সাঁতার দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায় এবং অপর ১ জন ইয়াবা কারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আনুমানিক ০৫-১০ মিনিট পর গোলাগুলির শব্দ থামলে টহলদলের সদস্যরা কেওড়া জঙ্গল হতে ১জন ইয়াবা পাচারকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। গুরুতর আহত ব্যক্তিকে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত এলাকাটি তল্লাশী করে ০৩টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তা ভিতর হতে ১০,২০,০০,০০০/- (দশ কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৩,৪০,০০০ (তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নিকট থেকে ০১ (এক) টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র এবং ০১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ২৭ বছর।

উল্লেখ্য যে, নিহতের সঙ্গীয় ইয়াবা কারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের সম্পর্কে কোন ধরণের তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

উক্ত ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। সরকারী কর্তব্যে বাধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।