রপ্তানি কাপড়ের কন্টেনারে মিথ্যা ঘোষণায় ৩৪ কোটি টাকার সিগারেট আমদানি

অপরাধ

আজকের দেশ রিপোর্ট : গোপন সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (EPZ) একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানি কন্টেনারের ভেতরে লুকিয়ে আনা ১ কোটি ১৩ লক্ষ শলাকা সিগারেট জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।


বিজ্ঞাপন

এতে ২৭ কোটি টাকা রাজস্ব জড়িত। এসব সিগারেটের ডিউটি পেইড মূল্য ৩৪ কোটি টাকা।

ঘোষণা:
কুমিল্লা EPZ এর প্রতিষ্ঠান -Bangladesh Textile & Chemical Fibre Industry Limited চীন থেকে কাপড় ও কাপড়ের সরঞ্জাম ঘোষণায় বন্ড সুবিধার আওতায় দুই কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে।

সাংহাই বন্দর থেকে আসে দুটো কন্টেনার: গত ১১ সেপ্টেম্বর চীনের সাংহাই বন্দর থেকে সংশ্লিষ্ট পণ্যবাহী কন্টেইনার দুইটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

সিএন্ডএফের এন্ট্রি:
পণ্য খালাসের লক্ষ্যে আমদানিকারকের মনোনীত সিএন্ডএফ এজেন্ট- আলমগীর এন্ড সন্স লিঃ (এআইএন-301143886) নামক প্রতিষ্ঠানটি বিল অব এন্ট্রি নং: সি-206439, তারিখঃ ১৩ সেপ্টেম্বর দাখিল করে।

১০০% কায়িক পরীক্ষা:
পরবর্তীতে আলোচ্য পণ্যচালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের এআইআর শাখা কতৃক পণ্যচালানটি লক করে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি, বন্দর নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংস্থার সদস্য ও প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে এআইআর শাখার কর্মকর্তাগণ কতৃর্ক পণ্যচালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।

Esse, xso ও oris সিগারেট:
কায়িক পরীক্ষাকালে কাভার্ড ভ্যান থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৫৬৫ টি কার্টনের প্রতিটিতে সিগারেটের দুইটি ইনার কার্টন পাওয়া যায়।
এতে বিদেশী ৩টি ব্যান্ডের মধ্যে যথাক্রমে,
– ৪৪ লক্ষ শলাকা Esse,
– ৩৭ লক্ষ শলাকা XSO ও
– ৩২ লক্ষ শলাকা Oris
মোট ১ কোটি ১৩ লক্ষ শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়।
যার আনুমানিক আমদানি মূল্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা। পণ্যচালানটিতে শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য ও উচ্চ শুল্কের পণ্য সিগারেট আমদানি করে।

২৭ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি:
আনুমানিক প্রায় ২৭ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় পূর্বের ন্যায় এই অপচেষ্টাও নস্যাৎ করে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার।

এবারই প্রথম নয়:
উল্লেখ্য, এর পূর্বেও চট্টগ্রাম কাস্টস কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারী ও দৃঢ় প্রচেষ্টায় অভিনব কায়দায় মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আমদানিকৃত একাধিক সিগারেটের চালান বন্দরের অভ্যন্তরে আটক করা হয়।

রুট বন্ধ করা জরুরী:
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এটি একটি অসাধারণ মেধাসম্পন্ন উদঘাটন। জানা যায়, কর্তৃপক্ষ এ চালানের অগ্রপশ্চাৎ অনুসন্ধান করছেন।