আগরতলা মামলার সকল অভিযুক্ত আসামীদের জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগরতলা মামলার ২য় আসামী লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ সকাল ১১ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বর, ঢাকায়। মানববন্ধনের দাবি লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেমসহ ৩৪জন আসামীদেরকে জাতীয় বীর ঘোষণা করতে হবে।


বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক।

বক্তব্য রাখেন বিশ^ বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি কবি মুহম্মদ আবদুল খালেক, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি ফাতেমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।

অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ব বাংলার জনগণের ভূমিকা ছিল অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বেশী। কিন্তু সেই ভূমিকাকে জলাঞ্জলি দিয়ে পাকিস্তানের তথা কথিত জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাঙালিদের বাংলা ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু জিন্নাহর সেই প্রস্তাব বাঙালিরা মেনে নেয়নি। পরবর্তীতের পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব শাহী বাঙালিদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। সেই কারণেই ১৯৬৬ সনে বাঙালিদের মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই ৬ দফাকে ধারণ করে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই ঐক্যবদ্ধ জাতিকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে ১নং আসামী ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২য় আসামী করে ৩৫ জনকে আসামী করে আগরতলা মামলায়। এই মামলাকে প্রতিহত করতে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুসহ সকল আসামীকে মুক্ত করে। পরবর্তীতে ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেন। পাকিস্তানের সামরিক শাসক নিয়মনীতি না মেনে বাঙালিদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেন এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতার জন্য প্রথম শহীদ হন লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন। লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে পাাকিস্তানের বাঙালি সেনা, নৌ-বিমান বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকের এই মানববন্ধনে থেকে আমাদের দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেমসহ ৩৪ জন আসামীদেরকে জাতীয় বীর ঘোষণা করার দাবি।

সভাপতির ভাষণে এম.এ জলিল বলেন, লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের নামানুসারে ঢাকা শহরে একটি সড়কের নাম ও বরিশালে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের একটি হলের নামকরণ করার দাবি জানান।