নৌকার প্রার্থী সুশান্ত কুমার দাস শান্ত পুনরায় মেয়র নির্বাচিত

সারাদেশ

নওয়াপাড়া পৌরসভা নির্বাচন

সুমন হোসেন, অভয়নগর (যশোর) থেকে : যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় নওয়াপাড়া পৌরসভা সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার নওয়াপাড়া পৌরবাসী বৈরী ও প্রতিকুল আবহাওয়া উপেক্ষা করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ভোট গ্রহন চলে বিরতিহীন ভাবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করেন অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুশান্ত কুমার দাস শান্ত। নওয়াপাড়া পৌরসভা সাধারন নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো জনগনের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সুশান্ত কুমার দাস শান্ত। তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ৯ শ’ ১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন’র হাতপাখা প্রতিকের প্রার্থী এইচ এম মহসিন আলী পেয়েছেন ৭ হাজার ৮ শ’ ২৯ এবং অপর প্রার্থী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের মো. আলমগীর ফারাজী পেয়েছেন ৭ শ’ ৩৫ ভোট।
সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বে-সরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেন নওয়াপাড়া পৌরসভা সাধারণ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান।
এ দিকে নওয়াপাড়া পৌরসভা সাধারন নির্বাচনে ৯টি সাধারন আসন ও ৩টি সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়েছেন, ১নং ওয়ার্ডে ৭ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪ শ’ ৪১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতিকের প্রার্থী তানভীল ইসলাম তানু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী পানির বোতল প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল হামিদ মোল্যা পেয়েছেন ৬ শ’ ৪১ ভোট।
২নং ওয়ার্ডে ৫ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২ শ’ ৩৮ ভোট পেয়ে কান্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন উটপাখি প্রতিকের মোস্তফা কামাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী পাঞ্জাবী প্রতিকের শেখ ওয়াদুদ পেয়েছেন ৭ শ’ ৮৪ ভোট।
৩নং ওয়ার্ডে ৬ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ২ হাজার ১ শ’ ৪১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন ডালিম প্রতিকের তালিম হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী উটপাখি প্রতিকের রফিকুল ইসলাম মজুমদার পেয়েছেন ১৫ শ’ ৫৮ ভোট।
৪নং ওয়ার্ডে ৫ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ১ হাজার ৭ শ’ ৩৩ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন উটপাখি প্রতিকের আব্দুস সালাম শেখ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী টেবিল ল্যাম্প প্রতিকের আজিম শেখ পেয়েছেন ৯ শ’ ৫৮ ভোট।
৫নং ওয়ার্ডে ৪ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ২ হাজার ৩ শ’ ২০ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মিজানুর রহমান মোল্যা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী পাঞ্জামী প্রতিকের আমির হোসেন গোলদার পেয়েছেন ১ হাজার ৭ শ’ ৮০ ভোট।
৬নং ওয়ার্ডে ৮ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ১ হাজার ২ শ’ ২০ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ডালিম প্রতিকের জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী উটপাখি প্রতিকের বায়জীদ হোসেন পেয়েছেন ৬ শ’ ৭৫ ভোট।
৭নং ওয়ার্ডে ৯ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ১ হাজার ২ শ’ ৮৭ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন উটপাখি প্রতিকের রিজাউল ইসলাম রেজা ফারাজী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী পানির বোতল প্রতিকের মুন্সি আব্দুল মাজেদ পেয়েছেন ৫ শ’ ৩৯ ভোট।
৮নংওয়ার্ডে ৫ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ১ হাজার ৫ শ’ ৭৩ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন উটপাখি প্রতিকের বিপুল শেখ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী টেবিল ল্যাম্প প্রতিকের আসাদ বিশ্বাস পেয়েছেন ১ হাজার ৩১ ভোট।
৯নং ওয়ার্ডে ৬ জন কান্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ১ হাজার ২ শ’ ৪ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন টেবিল ল্যাম্প প্রতিকের মিজানুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী পাঞ্জাবী প্রতিকের শমসেদ আরম পেয়েছেন ৪ শ’ ১৮ ভোট।
সংরক্ষিত আসন-১ (পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) ৪ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ গ্রহন করেন। ৪ হাজার ৫ শ’ ৬৬ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন দ্বতল বাস প্রতিকের রোকেয়া বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী চশমা প্রতিকের আসমা বেগম পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩ ভোট।
সংরক্ষিত আসন-২ (পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড) ৪ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ গ্রহন করেন। ৫ হাজার ১ শ’ ৫৮ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতিকের শিরিনা বেগম । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জবা ফুল প্রতিকের সুলতানা আরেফা মিতা পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭ ভোট।
সংরক্ষিত আসন-৩ (পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) ৩ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী অংশ গ্রহন করেন। ৩ হাজার ৫ শ’ ১৭ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন চশমা প্রতিকের রাশীদা বেগম লিপি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আনারস প্রতিকের জাহানার বেগম পেয়েছেন ১ হাজার ৭ শ’ ২৫ ভোট।


বিজ্ঞাপন