শুদ্ধাচার চর্চায় কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করবে

রাজধানী

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শুদ্ধাচার পুরস্কার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের কর্মস্পৃহাকেও বৃদ্ধি করবে।


বিজ্ঞাপন

২৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নগর ভবনে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলপত্র প্রণয়ন এবং ২০১৭ সালে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা প্রণয়ন করে।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, বিস্তারিত পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই শেষে ডিএনসিসির ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২০২১ প্রদানের জন্য এবং একজন কাউন্সিলরকে শুদ্ধাচার সম্মাননার জন্য মনোনীত করা হয়।

তিনি বলেন, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ হলেন অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা (৫ম গ্রেড) এ. এস. এম. সফিউল আজম, ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (৪র্থ গ্রেড) আবুল হাসনাত মোঃ আশরাফুল আলম এবং সাচিবিক দপ্তরের সচিবের ব্যক্তিগত সহকারি (১৪তম গ্রেড) সিরাজুল ইসলাম খান, অঞ্চল-৩ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড) নিলুফা আক্তার এবং অঞ্চল-৫ এর পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক (১৪তম গ্রেড) মোঃ শহিদুল ইসলাম, আর শুদ্ধাচার সম্মাননাপ্রাপ্ত হলেন ডিএনসিসির ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুল মান্নান।

ডিএনসিসি মেয়র শুদ্ধাচার পুরস্কার ও সম্মাননাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পুরস্কার হিসেবে একটি সার্টিফিকেট এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করেন।

এর আগে, মোঃ আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে গুলশানের নগর ভবনেই ২য় পরিষদের ৮ম কর্পোরেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আজকের কর্পোরেশন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সংসদ ভবন এভিনিউ খেজুর বাগান (ইসলামিয়া আই হসপিটাল) থেকে বিজয় সরণি (এরোপ্লেন মোড়) পর্যন্ত সড়ক “শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম সড়ক নামে নামকরণ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ড খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার ৬ নম্বর সড়কটি (হোল্ডিং নং ১৩২১ হতে হোল্ডিং নং ১২৮০ হয়ে ১২৬৬ পর্যন্ত) “মুক্তিযোদ্ধা ও গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর সড়ক নামে” নামকরণ এবং গুলশান বনানী ও বারিধারা এলাকার জন্য পূনঃনির্ধারিত খসড়া রেইটস চার্ট অনুমোদন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে ঢাকাকে মুক্ত করে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে হবে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও নগরবাসীর কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সকলের পক্ষ থেকে ডিএনসিসির মানবিক মেয়রকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজাসহ উর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।