বিশেষ প্রতিবেদক : ডেঙ্গু নিধনে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও মশক নিধনে বরাদ্দ নেই ঢাকার দুই সিটির নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডে। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ এসব ওয়ার্ডের বাসিন্দারা, আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। কিছু কিছু ওয়ার্ডে ব্যক্তি উদ্যোগে মশার ওষুধ ছিটালেও তা অব্যাহত রাখা সম্ভব নয় বলছেন, কাউন্সিলররা। মশক নিধনে বাজেট ঘোষণার আশ্বাস নগর কর্তৃপক্ষের।
রাজধানীর অদূরে মাতুয়াইল ও ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা। যা ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন সংযোজিত ৬৪ ও ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড। দিনের বেলায়ও এসব এলাকায় মশার উৎপাতে টেকা দায়। ঢাকা উত্তর সিটির বেরাইদ এলাকার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডেও একই চিত্র। বর্ষায় পানি জমে এডিস মশার বিস্তার আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখানে ও কখনো মশার ওষুধ ছিটাতে দেখেনি এলাকাবাসী।
সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হলেও কোনো সেবা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
তারা বলেন, কারও কোনো উদ্যোগ নেই। কেউ মশার ওষুধ ছিটায় না।
রাজধানীর ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। সমালোচনা হচ্ছে ঢাকার দুই সিটির ভূমিকা নিয়ে। ঠিক সেই সময় জানা গেলো ঢাকার নতুন অন্তর্ভুক্ত ৩৬টি ওয়ার্ডে মশক নিধনে কোনো বরাদ্দই নেই।
ডিএসসিসির ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল বলেন, এখনও কোনো বরাদ্দ পাইনি। মশক নিধনও নয়, ঝাড়ুদারের জন্যও নয়।
ডিএনসিসির ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যক্তিগত লোক দিয়ে আমরা মশার ওষুধ নিয়ে আসছি। তবে ওই ওষুধ যে দিব, সেজন্য কোনো লোকও আমাদের নগর ভবন থেকে দেয়া হয়নি।
সমাধানে তবে করনীয় কী? প্রশ্ন ছিল ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রের কাছে। মশক নিধনে বরাদ্দ ঘোষণার আশ্বাস দিলেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বোর্ডে বাজেট পাস হয়েছে। এবার মশার জন্যই সবচেয়ে বেশি বাজেট রাখা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা রেকর্ড ছাড়াচ্ছে, তখন এই বরাদ্দ পাওয়া না পাওয়ার মধ্যেই কি আটকে থাকবে ৩৬টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মশার হাত থেকে বাঁচার উপায়? এই প্রশ্ন এখন ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দাদের।