কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা

অপরাধ

মুহিবুল্লাহর পরিবারের সন্দেহ আরসাকে


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি : মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাতে উখিয়ার ১-ইস্ট নম্বর লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থানীয় মসজিদে দুই ভাই মিলে নামাজ আদায় করেন। এরপর মুহিবুল্লাহসহ তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস অফিসে যান।

সেখানে তিনি (মুহিবুল্লাহ) কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। পরে তিনি (হাবিবুল্লাহ) ঘরে খাবার খেতে যান।

“খাবার খাওয়ার এক পর্যায়ে গুলির শব্দ শুনে বের হয়ে আমি এআরএসপিএইচআর অফিসে যাই।

এসময় আমার ভাই মুহিবুল্লাহকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। তাকে ঘিরে ছিল ১৫/২০ জন অস্ত্রধারী লোকজন।”

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে মুখে মাস্ক ও গামছা পরিহিত ওই অস্ত্রধারীরা হামলা চালায়। তবে সেখানে আরও কয়েকজন থাকলেও শুধু মুহিবুল্লাহকে লক্ষ্য করেই গুলি ছুড়েছিল।

মুখঢাকা হলেও হামলাকারী কয়েকজনকে চিনতে পারার দাবি করে হাবিবুল্লাহ বলেন, “আরসার নেতা মাস্টার আব্দুর রহিম, লালু ও মুর্শিদসহ ৩/৪ জনকে চিনতে পেরেছি।

এরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে আসছে। অন্যদের চিনতে পারিনি।”

হামলার কারণ কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য আমেরিকা ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের সাথে বাংলাদেশের ইতিবাচক আলালোচনা হয়েছে।

“আমার ভাই মুহিবুল্লাহ দ্রুত প্রত্যাবাসন নিয়ে খুবই আশাবাদী ছিলেন।

কাল রাতে এ নিয়েই এআরএসপিএইচআর অফিসে বসে অন্য রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন তিনি।”

মুহিবুল্লাহর আরেক ভাই আহমদ উল্লাহ বলেন, মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের সর্বজনগ্রাহ্য নেতা হয়ে উঠেছিলেন।

তার সঙ্গে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গের যোগাযোগ ছিল। এ কারণে পুরনো সংগঠন আরসা তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল।

“তারা (আরসার সদস্যরা) আমার ভাই মুহিবুল্লাহকে নেতা মানতে রাজি ছিল না।

তারাই (আরসা) প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার ভাইকে খুন করেছে।

এর আগে থেকে প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ না করতে আরসা’র সদস্যরা আমার ভাইকে নানাভাবে হুমকী দিয়ে আসছিল।”