নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কুমিল্লার ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে জড়িত।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপিত হয়েছে, সেটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে আমাদের এ দেশ। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়কাল তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে একটি মহল সবসময় ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকুক, তারা তা চায় না। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে গুজব রটিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে তথ্য উপস্থাপন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করছে। গত কয়েক বছরের এ ধরনের ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এগুলোর পেছনে হীনউদ্দেশ্য ছিল, সরকার সেগুলো কঠোর হাতে দমন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির অপচেষ্টা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা বিকৃতভাবে ছড়িয়ে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অপচেষ্টা করেছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, একটি মহল যারা সব সময় এ অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনার পেছনে কারা জড়িত পুলিশ তা তদন্ত করছে। খুব দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিশ্ব ব্যাংককে সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। সেই একই মহল এ গুজব ছড়িয়েছে। তারাই আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপকর্ম করেছে।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘দেশের জনগণের প্রতি আমার অনুরোধ, কোনো গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে, আপনারা নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে পূজা উদযাপন করুন। সরকার আপনাদের পাশে আছে।’