নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্রিস্টাল মেথ (আইস) একটি ভয়ঙ্কর মাদক যা ইয়াবার থেকে বহুগুন শক্তিশালী এবং মানব মস্তিষ্কের নিউরনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এটি একটি “ক” শ্রেণীর মাদকদ্রব্য।

গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং চলতি মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১(এক) কেজি ২৭০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করা হয় এবং একটি শক্তিশালী সঙ্গবদ্ধ চক্রকে সনাক্ত করে ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতার করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভিন্ন গোয়েন্দা কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইস এর আরও একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ককে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং টেকনাফ থেকে আইস এর একটি বড় চালান ঢাকায় প্রবেশ করেছে বলে অবগত হয় ।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর উপপরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর প্রত্যক্ষ মনিটরিং এবং সহকারী পরিচালক, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) মোঃ মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে অত্র কার্যালয়ের বিভিন্ন সার্কেলের সমন্বয়ে একাধিক টিম গঠন করে গত ১৭ অক্টোবর বিকাল হতে গতকাল ১৮ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর পল্লবী, উত্তরা ও দক্ষিনখান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উত্তরা ও দক্ষিনখান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১) মোঃ জহিরুল ইসলাম সুমন (৪০), পিতা: জয়নাল আবেদীন, মাতা-জাহানারা বেগম, বর্তমান ঠিকানা-আমতলা দক্ষিনখান, থানা: দক্ষিনখান, ঢাকা এবং ২) নুরুল ইসলাম (৩৩), পিতা: নুরুল কবীর, মাতা: নুর বেগম, বর্তমান ঠিকানা: গোবিন্দরখীল, ডাকঘর:পটিয়া, থানা:পটিয়া, জেলা: চট্টগ্রাম’কে দক্ষিনখান থানাধীন আইনুছবাগ আমতলাস্থ এলাকা হতে ৩০০ (তিনশত) গ্রাম আইসসহ গ্রেফতার করা হয়।।
গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরারস্থ সেক্টর-১ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ইমন(৩৩), পিতাঃ মৃত দুদু মিয়া, মাতাঃ দেলোয়ারা বেগম, বর্তমান ঠিকানা: দেনায়েতপুর পৌরসভা, থানা: রায়পুর, জেলা: লক্ষ্মীপুর’কে ২০০ (দুইশত) গ্রাম আইসসহ গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ক্রমিক ১ নং ব্যক্তি দীর্ঘ দিন যাবৎ জনশক্তি রপ্তানির কাজের আড়ালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
এ কাজে সহযোগী হিসেবে কাজ করতো গ্রেফতারকৃত মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ইমন । ক্রমিক ২ নং ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ টেকনাফ থেকে আইস/ইয়াবা নিয়ে এসে ঢাকাস্থ ফকিরাপুলে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছিল।
এ অভিযানে সর্বমোট ৩ (তিন) জন আসামীদের কাছ মোট ৫০০ (পাঁচশত) গ্রাম ক্রিস্টাল মেঘ (আইস) উদ্ধার করা হয় যার আনুমানিক মূল্য পৌনে এককোটি টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,২০১৮(সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তর জোন এর সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অত্র প্রতিবেদককে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহাপরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। মাদক বিরোধী অভিযান এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান ।