নিজস্ব প্রতবিদেক : সিএনজিচালিত হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিকশাসহ সব গাড়ির পৃথক ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে স্বারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সোমবার সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কেবল ডিজেলচালিত বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়ালেও এই ভাড়া বৃদ্ধির আদেশ জারির সঙ্গে সঙ্গে সিএনজিচালিত, ডিজেলচালিত, পেট্রলচালিত, অকটেনচালিত সব ধরনের বাস-মিনিবাসের পাশাপাশি হিউম্যান হলার, লেগুনা, অটো-টেম্পু, অটোরিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশা ও মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের পরিবহনে অতিরিক্ত মাত্রায় ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
সারাদেশে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানির সামগ্রিক দিক পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পেয়েছে যে, এসব যানবাহনে অস্বাভাবিকহারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী সব ধরনের গণপরিবহনের ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও সরকার এসব পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ না করায় যে যার ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে।
স্বারকলিপিতে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না থাকায় যাত্রীসাধারণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকদের হাতে যাত্রীরা নাজেহাল হচ্ছে। এসব গাড়িতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, এক দশক ধরে এসব যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে আবেদন করা হলেও সরকার ভাড়া নির্ধারণ করেনি। গণমাধ্যমে এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে ফাইল একটু আগায় আবার গণমাধ্যম নীরব হলে ফাইল আবার ডিপ ফ্রিজে ডুকে পরে বলেও স্বারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।
এসব যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণের আগে গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণের ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি ও ভাড়া নির্ধারণ কমিটি পুনর্গঠন করে মালিক-শ্রমিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী প্রতিনিধি রাখার দাবি জানায় সংগঠনটি।