স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে নতুন ভাবনায় আওয়ামী লীগ

রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই দফায় শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে সংঘাত সহিংসতা ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়ী হওয়ায় পেছনে সঠিক প্রার্থী বাছাই না করাকেই দায়ী করছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা।
তারা বলেছেন, দলীয় প্রধানের কাছে জনপ্রিয় প্রার্থীদের নাম যাচ্ছে না। ফলে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন পাচ্ছেন না। যার প্রভাব পড়েছে ভোটের মাঠে।
তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবছে আওয়ামী লীগ। এনিয়ে দলের মধ্যে কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
দৃশ্যপট এক, পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে সহিংসতার পেছনে ছিলো প্রার্থী নিয়েই। সেখানে প্রার্থী একই পরিবারের তিনজন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে আসিফ শাসম, ছোট ভাই বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন এবং বড় ভাইয়ের মেয়ে সাদিয়া আলম। ফলে সংঘাতও তাদের মধ্যেই।
এমন দৃশ্যপট দেখা গেছে ইউপি নির্বাচনের দ্বিতীয় দফাতে। যার প্রভাব পড়েছে ভোটের ফলে। নৌকা প্রতীককে পেছনে ফেলে জিতেছেন অনেক বিদ্রোহী প্রার্থী।
ভোটের মাঠে নেই বিএনপি। তাই, আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ছাড়াছড়ি। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে সেই প্রার্থীরা। ফলাফল দুই ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৩৭ জনের মৃত্যু।
গেলো বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের ৮৩৪টি ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রার্থী হেরেছে ৪২ শতাংশ; জয়ী হয়েছে ৩৩০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। যাদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
চতুর্থ ধাপের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে আওয়ামী লীগ। মনোয়ন কিনতে আসারাও বলেছেন যোগ্য ব্যক্তি মনোনয়ন না পাওয়াই ফলের এই চিত্র।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ মনে করেন, প্রার্থী নির্বাচনে হাইকমান্ডেরও ভুল হতে পারে বলছেন এই নেতা। সেই সাথে ভবিষ্যতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে কি-না তা নিয়েও ভাবছে আওয়ামী লীগ।
আগামী ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতা ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হবে।


বিজ্ঞাপন