অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যম হবে পর্যটন

অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বাংলাদেশের গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করতে পর্যটন হবে অন্যতম মাধ্যম। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং বাংলার গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ উন্নয়ন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জনকল্যাণমূলক উন্নয়ন দর্শনকে প্রতিফলিত করবে।’
মঙ্গলবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের উদ্যোগে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন: বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা ও সোনারগাঁও হোটেল’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহবুব আলী বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনমান উন্নত হওয়ায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে দেশীয় পর্যটক।’
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক অর্থনীতিবিদ ডক্টর সেলিম জাহান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যটন শিল্পকে দেশের উন্নয়নের সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন। এই মহান নেতার কাছে পর্যটন ছিল মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্র। বঙ্গবন্ধু জানতেন বাংলাদেশের প্রকৃতি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং আতিথেয়তা এসব সম্পদের সঠিক ব্যবহার পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, ‘দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। পর্যটনের প্রসারে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সকল ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হবে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ কর্মকার, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিয়া, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আমিনুর রহমান খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া।


বিজ্ঞাপন