সুমন হোসেন : পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নিদের্শনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এর নেতৃত্ত্বে এসআই (নিঃ) রেজোয়ান সঙ্গীয় এসআই (নিঃ) গোলাম আলী ও ফোর্স সহ যশোর জেলার চৌকস দল পটুয়াখালী পিবিআইয়ের সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার ৯ ডিসেম্বর অনুমান ৫ টা ৫৫ মিনিটের সময় অভিযুক্ত মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৩), পিতা-মোঃ কুদ্দুস ফকির (৬০), সাং-কুতুবপুর, থানা-বেগমগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী, স্থায়ী সাং-বড় ভৈৎসর, থানা-বানারীপাড়া, জেলা-বরিশাল’কে পটুয়াখালী জেলার সদর থানাধীন পূর্ব রুস্তÍম মৃধা কালভার্ট সংলগ্ন, পটুয়াখালী এ জে আর পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস কক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
যশোর আর এন রোডস্থ এসএ পরিবহন শাখায় মোঃ জসিম উদ্দিন গত ৭ এপ্রিল ২০১১ তারিখ হতে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত পার্সেল সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিল।
সে অত্র শাখায় কর্মরত থাকাকালে কন্ডিশনের মালামাল ডেলিভারীর দায়িত্ব পালন করতো।
তার উপর অর্পিত দায়িত্বে থাকাকালে কন্ডিশনের মালামাল ডেলিভারি দিয়ে অভিনব কায়দায় ৮,০১,০০০ (আট লক্ষ এক হাজার) টাকা আত্মসাৎ করে।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে মোঃ আব্দুল লতিফ (ম্যানেজার, এসএ পরিবহন, যশোর আরএন রোড শাখা) বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-০৯/১২/২০২১ ইং ধারা-৪০৬/৪২০৫০৬/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন।
উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) রেজোয়ান এর উপর অর্পণ করেন।
মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রকাশ্য ও গোপন তদন্ত এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৩) কে গত ৯ ডিসেম্বর, অনুমান ৫ টা ৫৫ মিনিটের সময় পটুয়াখালী জেলার সদর থানাধীন পটুয়াখালী এ জে আর পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অফিস কক্ষ থেকে গ্রেফতার পূর্বক হেফাজতে গ্রহণ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিযুক্ত মোঃ জসিম উদ্দিন গত ৭ এপ্রিল ২০১১ সাল হতে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সাল পর্যন্ত এসএ পরিবহন আর এন রোড, যশোর শাখায় পার্সেল সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিল। সে এসএ পরিবহন যশোর শাখায় কর্মরত থাকাকালে তার উপর কন্ডিশনের মালামাল ডেলিভারী দায়িত্ব ছিল।
এরপর তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে এসএ পরিবহন যশোর আরএন রোড যশোর শাখা হতে পদোন্নতি দিয়ে যশোর বেনাপোল শাখায় ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার হিসাবে বদলি করা হয়।
তাকে বদলী করার সময় যশোর শাখার হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন সুকৌশলে নামমাত্র হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে যশোর বেনাপোল শাখায় যোগদান করে।
পরবর্তীতে বিভিন্ন গ্রাহকদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে কন্ডিশনের মালামাল ডেলিভারীর টাকার হিসাব গরমিল পরিলক্ষিত হলে অভিযুক্তকে গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৭ যশোর বেনাপোল এসএ পরিবহন শাখা হতে কর্মচ্যুত করে টাকার হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তলব করা হয়।
অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন এর উপস্থিতিতে এসএ পরিবহন আরএন রোড শাখায় হিসাব নিকাশ করাকালে মোঃ জসিম উদ্দিন যশোর আরএন রোড শাখায় কর্মরত থাকাকালে কন্ডিশনের মালামাল ডেলিভারি দিয়ে অভিনব কায়দায় ৮,০১০০০ (আট লক্ষ এক হাজার) টাকা আতœসাৎ করার বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
তারপর প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাৎকৃত টাকা আদায় করার নিমিত্তে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে পর্যায়ক্রমে চাপ সৃষ্টি করতে থাকলে গত ১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখ অভিযুক্তের খালু এসএম সামি এসএ পরিবহন, মিরপুর শাখা, ঢাকায় উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তের আত্মসাৎকৃত টাকার মধ্য হতে ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা ফেরত দিয়ে বাকি ৬০১,০০০ (ছয় লক্ষ এক হাজার) টাকা পর্যায়ক্রমে ফেরত দেওয়ার লিখিত অঙ্গিকার করে।
কিন্তু পরবর্তীতে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন এসএ পরিবহন প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাৎকৃত বকেয়া ৬,০১,০০০ (ছয় লক্ষ এক হাজার) টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে এবং আসামীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদান করতে থাকে।
আসামী এসএ পরিবহন আরএন রোড যশোর শাখা হতে প্রতারণামূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে সর্বমোট ৬০১,০০০ (ছয় লক্ষ এক হাজার) টাকা আত্মসাৎ করে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে শুক্রবার মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কোতয়ালী, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্ত অব্যহত রয়েছে।