নিজস্ব প্রতিবেদক : বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল উদ্ধারে কামরাঙ্গীরচরে সোমবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একের পর এক বহুতল ভবন। বহু বছরের দখল, অবশেষে পরাভূত। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল ভরাট করে গড়ে তোলা চারতলা ভবনসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা মুহূর্তেই গুঁড়িয়ে দেয় বিআইডাব্লিউটিএর এক্সকাভেটর। অবশ্য প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও দখলদারদের বাধার মুখে পড়ে উচ্ছেদ অভিযান। নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টার পর শুরু হয় উচ্ছেদ কার্যক্রম। ভুক্তভোগীরা বলেন, আদি চ্যানেল ছিল না কি ছিল সেটা আমরা বুঝি না, আমাদের সব কিছু আছে। আজকে নতুনভাবে ৮০ ফিট জায়গা দাবি করে তারা। এই জায়গা আমি আজ ৩০ বছর ধরে ক্রয় করেছি। আমার কাগজপত্র সবকিছু ঠিক আছে। বেলা ১২ টার পর শুরু হওয়া অভিযানে কামরাঙ্গীচর ও হাজারীবাগ মৌজার বহুতল অবৈধ স্থাপনাগুলো একের পর এক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। চিহ্নিত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো ছাড় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিআইডাব্লিউটিএ’র। হাইকোর্ট কর্তৃক বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের জরিপ করে যে প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে সেই ম্যাপ অনুযায়ী এই চ্যানেলটিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তাই এসব চ্যানেলে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে। ১৭ মার্চ হাইকোর্ট বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখল করে গড়ে ওঠা ৭৪টি স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।