মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, হবিগঞ্জে পৌর মেয়রের সহায়তায় রেলওয়ের জায়গা দখল ও সুনামগঞ্জ সওজের বিরুদ্ধ দুর্নীতির অভিযোগ

Uncategorized

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর ১২টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহ ৩ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ৯ টি প্রতিষ্ঠানে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বেসরকারি সংগঠনের সাথে যোগসাজশে আমদানিকৃত পণ্য আটকে রেখে বেআইনিভাবে অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার উপ-পরিচালক মোঃ আবদুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনে জন্য মোংলা বন্দর পরিদর্শন করে। টিম বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে।

বন্দর পরিদর্শনকালে বারভিডা কর্তৃক গাড়ি প্রতি লেভি বাবদ অর্থ আদায়ের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে টিম। উক্ত অর্থের একটা অংশ বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ব্যাংক একাউন্টের জমা হয়। এ অর্থ ব্যয়ের কোনো সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি।

বারভিডা কর্তৃক বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ি প্রতি অর্থ আদায় সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বর্তমানে বন্ধ আছে। অভিযানে প্রাপ্ত নথিপত্র যাচাই বাছাইপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের জায়গায় জনৈক ব্যক্তির কর্তৃক পৌরসভার মেয়র এর সহযোগিতায় অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে আজ অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। দুদক টিম উক্ত দপ্তর ও ভবন পরিদর্শন করে।

পরিদর্শনকালে অভিযোগ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ঠদের সাথে কথা বলে এবং প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। এ প্রসঙ্গে সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে সংশ্লিষ্ট এনফোর্সমেন্ট টিম।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক এর নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদক টিম সরেজমিনে উক্ত রাস্তা পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দ্বারা কাজের মান যাচাইপূর্বক বিস্তারিত পরিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৯টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।