দেশের বাজারে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ আনল বেক্সিমকো

স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমেরিকার তৈরি নিরমাট্রেলভির ও রেটিনোভির নামে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মুখে খাওয়ার দুটি ওষুধ বৃহস্পতিবার থেকে দেশে বাজারজাত শুরু করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস। ওষুধটি ঢাকাসহ সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে।
সম্প্রতি ফাইজারের করোনার চিকিৎসার জন্য প্যাক্সলোভিড (নির্মাট্রেলভির ও রিটোনাভির মুখে খাওয়া ওষুধসহ প্যাকেজ/একত্রে প্যাকেজ) ওষুধটির বিশ্বের প্রথম জেনেরিক সংস্করণ নিয়ে আসার ঘোষণা দেয় বেক্সিমকো ফার্মা।
এর আগে প্যাক্সলোভিড গত ২২ ডিসেম্বর ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায়। পাশাপাশি বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর গত ৩০ ডিসেম্বরে করোনার এই মুখে খাওয়ার ওষুধ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদের মৃদু এবং মাঝারি লক্ষণযুক্ত কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার জন্য জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
জানা গেছে, নতুন আবিষ্কৃত এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধটি উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৯০% পর্যন্ত হ্রাস করে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ল্যাব ডাটায় আরও দেখা যায় যে, এই ওষুধটি দ্রুত সংক্রমণকারী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর। বেক্সিমকো ফার্মা এই ওষুধটি বেক্সোভিড নামে বাজারজাত করবে।
নির্মাট্রেলভির সার্স-কোভ-২ এর প্রতিলিপির জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমকে বাধা দেয় এবং রিটোনাভির আমাদের শরীরে নির্মাট্রেলভিরের ভাঙনকে কমিয়ে দেয়। যার ফলস্বরূপ নির্মাট্রেলভির দীর্ঘ সময় রক্তে উচ্চমাত্রায় থাকে।
কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য দুইটি নির্মাট্রেলভির এবং একটি রিটোনাভির একসঙ্গে দিনে দুইবার করে মোট ৫ দিন খেতে হবে। শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বেক্সোভিড নিতে হবে এবং কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, লক্ষণ প্রকাশের পাঁচ দিনের ভিতরে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি বলেন, কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য এর আগে বিশ্বের প্রথম রেমডেসিভির এবং মলনুপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণ নিয়ে আসার পর এই যুগান্তকারী ওষুধটি নিয়ে আসতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। দ্রততম সময়ে সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করার প্রতিশ্রুতি আমরা আবারও রেখেছি। দ্রত সংক্রমণকারী ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা থাকায় আমরা বিশ্বাস করি যে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বেক্সোভিড শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন বলেন, বেক্সিমকোর মুখে খাওয়া ওষুধের কার্যকারিতা ৮৮ ভাগ।
মন্ত্রী বলেন, ওষুধ ভ্যাকসিনের বিকল্প নয়। ভ্যাকসিন নেবেন সুস্থরা, আর ওষুধ সেবন করবে আক্রান্তরা। এক ডোজ ওষুধের দাম হবে তিন হাজার টাকা। মোট পাঁচ দিন খেতে হবে। মোট ৩০টি ট্যাবলেটের দাম হবে ১৬ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী মাস থেকে সারা দেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে ভ্যাকসিন কাযর্ক্রম শুরু হবে। ২৮ হাজার বুথে চার কোটি ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তারা।


বিজ্ঞাপন